ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। আগেই পূজার পাকা প্ল্যান করে রেখেছিলেন এই অভিনেত্রী। এবার ছেলেকে নিয়ে মণ্ডপে যাবেন। ঠাকুর দেখাবেন। করলেনও তাই। শুক্রবার যশ এবং ঈশানকে নিয়ে সাবেকি সাজে পুজোর মণ্ডপে দেখা গেল নুসরাতকে। সপ্তমীর সন্ধ্যায় বাবা যশকে কেক কেটে খাইয়েছিলেন।
অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণে মা-বাবার সঙ্গে দুর্গা দর্শনে বেরিয়েছিল ঈশান। জমিয়ে সিঁদুর খেললেন যশ ও নুসরাত। সপরিবারে ছবি শেয়ার করে অনুরাগীদের দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানালেন অভিনেত্রী।
যশ-নুসরাতের ছেলে ঈশানকে দেখা গেল একেবারে আদ্যোবান্ত বাঙালিবাবু সাজপোশাকে। পরনে তার সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি। তাতে আবার লাল সুতো দিয়ে কারুকার্য করা। নুসরাতকেও দেখা গেল লাল শাড়িতে। সোনার গয়নায় সাবেকি সাজে। সিঁথিতে সিঁদুর। অন্যদিকে আকাশি রঙের পাঞ্জাবি পরেছিলেন যশ।
অভিনেত্রীর শেয়ার করা ফ্রেমেই ধরা পড়ল তাদের একটুকরো সুখী গৃহকোণের ছবি। বয়স সবে তিন হলেও ঈশান যে দিব্যি ক্যামেরা ফ্রেন্ডলি। সেটা তার অভিব্যক্তিতেই ধরা পড়েছে। মায়ের কোলে বসে হাসিমুখে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ছবি তুলেছে খুদে ঈশান। আর যশেরও চোখ ছিল ছেলের দিকেই।
এবারও অঞ্জলি দিয়ে জমিয়ে ভোগ খেয়েছেন ছেলে ঈশান এবং যশকে নিয়ে। সন্ধেয় তাকে দেখা গেল বন্ধু তনুশ্রী চক্রবর্তীর সঙ্গে জমিয়ে পুজো প্যান্ডেলে আড্ডা দিতে। সপরিবারে ছবি শেয়ার করে নুসরাতের বার্তা, ‘সবা মঙ্গল হোক। আমাদের পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা।’
এর আগে ০৭ অক্টোবর নুসরাত বলেন, ‘বিশ্বাস কোনও ধর্মের উপর নির্ভর করে না। কোনও ভাষার উপরেও নির্ভর করে না। বিশ্বাস মানুষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্রোলিংকে আমি পাত্তা দিই না।
কারণ, প্রত্যেকের তার নিজের মতো জীবন যাপনের স্বাধীনতা রয়েছে। কেউ অন্যের জীবনযাপনের শর্ত নির্ধারণ করে দিতে পারে না। আমি সমাজমাধ্যমে দেখেছি, মহিলাদের একটু বেশিই ট্রোল করা হয়। চারটা লাইন লিখে পালিয়ে যাচ্ছে। তাদের চিনিও না, জানিও না। তাই পাত্তাও দেই না।’