শুধু অভিনয় নয়, স্পষ্ট মতামতের জন্যও প্রায় সময়ই শিরোনামে আসেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। এবার পূজায় মুক্তি পাচ্ছে তার ছবি ‘বহুরূপী’। সম্প্রতি ছবিটি নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঋতাভরী জানিয়েছেন আবীর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করতে তিনি খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
ঋতাভরী বলেন, “আবীরদাকে যখন চিনতাম না, তখন ওর ওপর ক্রাশ ছিল। এখন আর ওর ওপর একবিন্দুও ক্রাশ নেই। ‘ফাটাফাটি’ ছবির সময় থেকেই সেই অনুভূতি উধাও। একটা মানুষকে পর্দায় দেখলে কিছু ধারণা তৈরি হয়। যেমন আবীরদাকে ‘ব্যোমকেশ’-এর মতোই মনে হয়েছিল। পরে বুঝলাম, তিনি ‘ব্যোমকেশ’ নন, আবীর চট্টোপাধ্যায়। তবে সহ-অভিনেতা হিসেবে আবীরদা অসাধারণ। ওর সঙ্গে কাজ করতে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।”
আবীরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করার সময় অস্বস্তির বিষয়ে তিনি বলেন, “আবীরদাও আমার সঙ্গে স্বচ্ছন্দ। সেই বোঝাপড়া রয়েছে। না হলে আমাদের জুটিটা এতটা এগিয়ে যেত না। আমরা তো উত্তমকুমার-সুচিত্রা সেন অথবা শাহরুখ খান-কাজলের মতো জুটি নই। তাই প্রতিবারই আমাদের রসায়ন তৈরি করতে হয়। রণবীর সিংহ ও দীপিকা পাড়ুকোন যেমন বাস্তবেও যুগল। তাই মানুষের ওদের নিয়ে একটা ধারণা রয়েছে। কিন্তু আমাদের সেটা তৈরি করতে হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আবীরদার একটা জগৎ আছে স্ত্রী ও পরিবার নিয়ে। আমার একটা অন্য জগৎ রয়েছে। মানুষ হিসেবেও আমরা ভিন্ন। কিন্তু পরস্পরের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল ও স্বচ্ছন্দ। আর ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে পেরেছি কারণ আমি বা আবীরদা কেউই কামযন্ত্রণায় ছটফট করি না (হেসে)। তাই এই দৃশ্যগুলিতে পরস্পরের স্পর্শে কখনো অস্বস্তি হয়নি। ‘ফাটাফাটি’-তেও স্বামী-স্ত্রীর রসায়ন ফুটিয়ে তুলতে পেরেছিলাম এই বোঝাপড়া আছে বলে। আমি নিজেও আমাদের জুটিকে দর্শক হিসেবে দেখেছি। এটুকু বলতে পারি, বুম্বাদা-ঋতুদির পরে আমি নিজেদের জুটির মধ্যে সেই রসায়ন খুঁজে পেয়েছি। সত্যিই যেন দুটো মানুষ পরস্পরকে ভীষণভাবে চায়।”