রাজধানীতে চলছে দ্বাবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে বাংলাদেশের ৭১টি সিনেমা প্রদর্শিত হচ্ছে। যার মধ্যে ৩৪টি সিনেমা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নির্মিত।
সব মিলিয়ে এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশসহ ৭৪টি দেশের আড়াইশটির বেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে আসিফ রহমান সৈকতের ‘বনফুল’, সাদমান শাহরিয়ারের ‘সিটি ডায়েরি’, রাগীব শাহরিয়ার সৈকতের ‘মধুর মাধবী’, সৈয়দা নিগার বানুর ‘নোনা পানি’, আফিফা আক্তারের ‘কালার্স অফ সোল’, ইকবাল হাসান খানের ‘বাড়ি ফিরে বুদ্ধা’, ফুয়াদুজ্জামান ফুয়াদের ‘স্যালভেশন অফ ট্রি’ ও ‘ডেথ এন্ড ল্যান্ডস্কেপ’, সিফাত আহম্মেদের ‘পাগল সাত্তার’, জাকির হাসান অনিকের ‘পেপার’, তাসনোভা তাবাসুমের ‘টিপস’, কিমিয়া শাহ আদতের ‘গল্পকথা’, শাহ সাকিব সোবহান ম্যাজিকের ‘বিয়ে বাড়ির মিষ্টি’ সোমাইয়া আফরিন মৌমিতার ‘অবশেষে’, মামুন সোবাহানির ‘ধূষর পান্ডুলিপি’, জিয়াউল হক রাজুর ‘অন্তহীন পথে’, এন এইচ তুহিনের ‘এস্কেপ’, বিপ্লব কুমার পাল বিপুর ‘দ্যা বয় ইন দ্য টর্ন সুজ’, আর কে আর মুনের ‘ইকুয়ালিটি’, মো. সামবিতুল ইসলামের ‘ইয়ার ০০০০’, ইউসুফ হাফিজের ‘ডোমের চিতা’, মৃত্তিকা রাশেদের ‘দ্বৈরথ’, রাবি আহমেদের ‘মনোবান, (দ্য ফটোগ্রাফ), নিলয় চন্দ্র দাশের ‘ডাইনির বাঁশি’, মো. রাশিদুল ইসলামের ‘সম্পর্ক’, অপু শর্মার ‘দ্য ট্র্যাপ ওফ দ্য সোসাইটি’, আলিফ মোহাম্মদের ‘কতো রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়’, মহিউদ্দীন আল আরাবির ‘সূর্যমুখী-দ্য সানফ্লাওয়ার’, ফিডেল ড্রংয়ের ‘ছাতা-দি আমব্রেলা’, ঝুমুর আসমা জুঁইয়ের পালকি-ফ্ল্যায়িং এন ইমোশন, জারিয়াত হায়দারের ‘ব্যাতিরেক’, মুরসালিন সরকারের ‘অন্তরায়।
চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত এসব চলচ্চিত্র সম্পর্কে বাংলাদেশ ফিল্ম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাদমান শিহির বলেন, “আমরা বেশ আনন্দিত ও গর্বিত যে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের মধ্যে ৩৪টি চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীদের নির্মিত। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করছে। চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি এসব চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা আরও ভালো কাজ করতে পারবে। সামনে হয়তো আমরা আরও বেশি ফিল্ম পাবো।”
একই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তাসনিম রোজা বলেন, চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক কাজের অংশ হিসেবে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হয়। কিন্তু ফিল্ম বিভাগগুলোতে ফান্ডিং ও সরকারি প্রনোদনা না থাকায় শিক্ষার্থীরা আশানুরূপ চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারছে না।
৯ দিনব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উসবের আয়োজন করেছে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ। এবারের উৎসবে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিন্ড্রেন্স ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন ফিল্ম সেশন বিভাগ থাকছে।