• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে যে বার্তা দিলেন নওশাবা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে যে বার্তা দিলেন নওশাবা
অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় মঞ্চ ও টিভি অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। শুভ বিজয়ার একদিন আগেই সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে ধরা দিলেন এই অভিনেত্রী। গত বছর নওশাবা দূর্গারূপে ভূমিকা দেখিয়েছিলেন ব্যস্ত ইটপাথরের রাজধানীর প্রেক্ষাপটে। এবার তার ফটোশুটের থিম ‘দুর্গার সমুদ্র’। তাই তার এবারের ছবিগুলোতে সমূদ্র বড় ভূমিকা পালন করেছে। প্রতিটি ছবিতে উঠে এসেছে সমুদ্র বিষয়ক নানা কার্যক্রম।

এবারের ফটোশুটটির সবচেয়ে বিশেষ দিক হল- সমসাময়িক রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়কে দেবী রূপে নারী শক্তির ঢেউয়ে প্লাবিত করার প্রয়াস করা হয়েছে। নওশাবা দুর্গার বেশে হাজির হয়ে তুলে ধরেছেন ধর্মীয় সম্প্রীতি, সমুদ্রের পরিবেশ দূষণ ইস্যু, দুর্গার মাতৃরূপ, সাহায্যকারী রূপ, ত্রাণকর্তার ভূমিকা ইত্যাদি।

এবারের দুর্গাপূজা উপলক্ষেও বিশেষ ফটোশুট ও ভিডিওচিত্র নির্মাণ করেছে নওশাবার ‘টুগেদার উই ক্যান’ ও ফটোগ্রাফি এজেন্সি ‘মোমেন্টওয়ালা’। এটি পরিচালনা ও ফটোগ্রাফি করেছেন এমডি নাজমুল হোসাইন। নওশাবাকে দেবী দুর্গার বেশে সাজিয়েছেন ইমন হোসেন।

আয়োজন প্রসঙ্গে কাজী নওশাবা বলেন, ‘চার বছর ধরে মোমেন্টওয়ালার সঙ্গে দুর্গার ফটোশুট করে আসছি। এবারের থিম ‘দুর্গার সমুদ্র’। তাই তার ছবিগুলোতে সমুদ্রের ভূমিকা অনেক বড়। টুগেদার উই ক্যান ও মোমেন্টওয়ালার যৌথ প্রয়াস এটি। একজন শিল্পীর কাজই হচ্ছে তাঁর শিল্পের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া। আমাদের টিমের প্রত্যেক মানুষ শিল্পী। কোলাবরেশনে কাজটি করেছি। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও নারীদের সঙ্গে যা হচ্ছে, শিল্পের মাধ্যমে তার বার্তা দিতে চেয়েছি। একটা ছবি দেখে যদি কারও ভেতরে বোধ জাগ্রত হয়, সেটাই আমাদের প্রাপ্য। আমরা চাই, বাংলাদেশ মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীতে জায়গা পাক।’

এই অভিনেত্রী বলেন, “দুর্গা ভালোবাসা আর সম্প্রীতির আধার। দুর্গা কেবল মন্দিরে পূজনীয় দেবী নন! তিনি প্রত্যেক নারীর আত্মার প্রতিফলন। সমুদ্রের মতো তিনিও সর্বব্যাপী; সবকিছুকে আলিঙ্গন করেন। দুর্গা শান্তি ও বিজয়ের প্রতীক। আমাদের এবারের আয়োজন সমসাময়িক রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়কে দেবীরূপে নারীশক্তির ঢেউয়ে প্লাবিত করার প্রয়াস। শিল্পীরা যে সচেতন– তা সবার সামনে আনারও এটি লক্ষ্য। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে কিছু স্বাধীন শিল্পী সবার কথাগুলো স্বাধীনভাবে বলতে চেয়েছেন এই আয়োজনে। এখানে আমরা ধর্মীয় সম্প্রীতি ও ভালোবাসার  কথা বলেছি। আশা করছি, আয়োজনটি সবার ভালো লাগবে।”

Link copied!