• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ন্যান্সির পোস্টে সতর্ক বার্তা, ‘জঙ্গলে যাও নইলে রাম প্যাদানি খাবে’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৪, ১১:৫৪ এএম
ন্যান্সির পোস্টে সতর্ক বার্তা,  ‘জঙ্গলে যাও নইলে রাম প্যাদানি খাবে’
নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। ছবি: ফেসবুক থেকে

জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। গানের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব থাকতে দেখা যায়। রোবাবার (১৪ জুলাই) তার ফেসবুকের একটি পোস্ট দর্শকভক্তদের ভাবিয়ে তুলেছে। করণ, সেই পোস্টে কোনো একজনকে সে ‘কুটনি বুড়ি’ ও ‘শেয়াল রাণী’সহ আরও বেশ কিছু ভাষায় গালমন্দ করে লিখেছেন,‘জঙ্গলে যাও নইলে রাম প্যাদানি খাবে’।  পোস্টে  শিয়ালের ছবি দিয়ে একটি দরখাস্ত আকারে কাকে যেন সতর্ক করেছেন এই শিল্পী। অবশ্য সেখানে তিনি কারও তার নাম উল্লেখ করেননি।

জনপ্রিয় এই শিল্পী ন্যানসি লিখেছেন, ‘বরাবর, কোকিল নামযুক্ত কুটনি বুড়ি শেয়াল রাণী। পরের চুল কাটা নিয়ে না ভেবে নিজের লেজ কোথায়, কাদের কাছে, কীভাবে এবং কতবার কেটে এসেছো সেটা নিয়ে ভাবো। মেকাপ ছাড়া দেখতে তুমি যেমন বিশ্রী, তোমার কর্মকাণ্ড ও ঠিক তেমন বিশ্রী।’

শেষে সতর্ক বার্তা ন্যানসি লিখেছেন, মানের ভয় তোমার নেই জানি কিন্ত প্রাণের ভয় তো আছে! তাই যত দ্রুত পারো জঙ্গলে চলে যাও। নইলে যে কোনো সময় রাম প্যাদানি খাবে। সতর্ক বার্তা প্রচারে- সুস্থ শিল্প সমাজ।’

এছাড়া ন্যানসির পোস্টের কমেন্ট বক্সে অনেকেই জানতে চেয়েছেন- কে এই কূটনী বুড়ি? ন্যানসির এই পোস্টের নিচে মো. শামীম ভূইয়া নামের ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘অর্থগুলি বুজতে খুব কষ্ট হয়ে গেলো।’ সেই মন্তব্যের জবাবে ন্যানসি লিখেছেন, ‘আমাদের গানের জগতে বিগত কয়েক বছর ধরে একটাই আবর্জনা। আপনি না বুঝলেও গসিপ মাতা ঠিকই বুঝবে কি বলতে চেয়েছি।’

তানভীর মাহমুদ ন্যানসিকে প্রশ্ন করেছেন, ‘কাকে বললে প্রিয় গায়িকা?’ এই প্রশ্নে ন্যানসি উত্তর দিয়েছেন, ‘লেজ কাটা বুড়ি শেয়াল রাণীকে বলেছি’।

এদিকে পোস্টে ন্যানসি যাকে ইঙ্গেত করেছেন তাকে বোধহয় চিনেছেন আরেক সংগীতশিল্পী কোনাল। ফলে পোসটি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে কোনাল লিখেছেন, ন্যানসি অপু ফিরে এসেছে। বহুরূপী, মিথ্যুক, হিপোক্রেটরা আসলে বোঝে না, অসভ্য আচরণ, বর্বরতা, মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে ছড়াতে মানুষ টায়ার্ড হয়ে গেলেও আল্লাহ টায়ার্ড হন না। রাম প্যাদানির সময় আসার আগে তার নিজের বেঁচে থাকা সম্মানটুকু নিয়ে সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত। অনেক হয়েছে! মানুষের সহ্যের সীমা থাকে। সীমা অতিক্রম করাটা আল্লাহও পছন্দ করেন না।
 

Link copied!