নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনে ৬ সদস্যদের অনুসন্ধান কমিটি (সার্চ) গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে সভাপতি করে এই কমিটি গঠন করা হয়। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
৬ সদস্যদের এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন দেশের শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখ অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী তাহসান খানের মা অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম।
তাহসান খানের মা জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসির) অষ্টম চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান ও ১৯৬৭ সালে স্নাতক পাশ করেন এবং ১৯৭৭ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তাহসানের মা ছাড়াও কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
এর আগে বিসিএসের প্রশ্নে ফাঁসের ঘটনায় আলোচিত পিএসসি’র গাড়িচালক আবেদ আলী কাণ্ড সামনে আসার পর প্রশ্নফাঁস কেলেঙ্কারিতে নাম আসে জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগমের।
সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই প্রচার করেন, ২০০২ সালের ৯ মে পিএসসি’ র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন তাহসানের মা। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরই ২৪তম বিসিএস পরীক্ষার সবচেয়ে বড় প্রশ্নফাঁস কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। যা দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল।
পরে ২৪ বিসিএস-এর পরীক্ষা বাতিল করা হয়। তবে সেই বিসিএসেই পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন তাহসান খান। পরে বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে জানা যায় ঘটনাটি সঠিক নয়। ভুল তথ্য দিয়ে তাহসানকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হয়।