বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নানা সহিংসতার পর শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের একদফা দাবির মুখে সোমবার (৫ আগস্ট) পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রী-এমপিরা অনেকেই পালিয়ে দেশ ছেড়েছেন। পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। সে দলে রয়েছেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী মমতাজ বেগম। তারও খোঁজ নেই। তিনিও আত্মগোপনে রয়েছেন।
শেখ হাসিনার আস্থাভাজন এবং জাতীয় সংসদ ও দলীয় অনুষ্ঠানগুলোতে গান গেয়ে আলোচিত হন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মমতাজ। বিভিন্ন সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে জনরোষ থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যে দেশত্যাগ করেছেন মমতাজ। আবার বলা হচ্ছে বিদেশ পালাতে ব্যর্থ হয়ে দেশেই আত্মগোপন করেছেন তিনি, বিদেশ পাড়ি দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে (সিংগাইর-হরিরামপুর- সদরের ৩ ইউনিয়ন) নৌকার টিকিট পেয়েও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে কুপোকাত হন মমতাজ বেগম। স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর সঙ্গে ভোটযুদ্ধে হেরে যান এই সঙ্গীত শিল্পী। পরে শেখ হাসিনার বিশেষ বিবেচনায় সংরক্ষিত নারী আসন-১৫ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ।
মমতাজের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, আত্মীয়করণ ও পদবাণিজ্য, এমপির বিশেষ বরাদ্দসহ টিআর কাবিখা, কাবিটা নামে-বেনামে লোপাট, বিতর্কিত ব্যক্তিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে নিজের অনুসারী কর্মী বাহিনী দিয়ে স্বামী ডা. মঈন হাসানের ওপর হামলা ও সর্বশেষ তার বাবা প্রয়াত মধু বয়াতির প্রথম স্ত্রী ও তিন কন্যার প্রতি অবিচারের অভিযোগ রয়েছে।