ফেসবুক বান্ধবী লায়লা করা ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন নাকচ এবং জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ মঙ্গলবার (১১ জুন) এই আদেশ দেন।
কারাগারে থাকা টিকটকার প্রিন্স মামুনের মায়ের আহাজারি বোবা সন্তানদের নিয়ে ঈদ করতে পারবেন না মামুন। সংবাদ সম্মেলনে ছেলের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার রাতে কুমিল্লা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করে ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ।
মঙ্গলবার মামুনকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। অপর দিকে মামুনের আইনজীবীরা রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত মামুনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করেন। একই সঙ্গে তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত ৯ জুন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন টিকটকার লায়লা। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়।
পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মত নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায় তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দিই।
২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে একাধিকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করে। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের কথা বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে এড়িয়ে যেতে থাকে।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আগের মতো আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবারও ধর্ষণ করে আমাকে। পরবর্তী সময়ে তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।