ভারতের বরেণ্য অভিনেত্রী মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেববর্মা মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় তার নিজ বাসভবনে মারা গেছেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। অভিনেত্রী রাইমা সেন ও রিয়া সেন পিতৃহারা হলেন। ভরত দেববর্মার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওইদিন ভোরেই অসুস্থ বোধ করছিলেন ভরত। ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসার আগেই সব শেষ হয়ে যায়। জানা গেছে, স্ত্রী মুনমুন আর কন্যা রাইমা সে সময় ভরতের পাশে ছিলেন না। মা ও মেয়ে দুজনই কাজের সূত্রে দিল্লিতে ছিলেন। মুনমুন সেন কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। ভরতের মৃত্যুর সময় তার পাশে ছিলেন ছোট মেয়ে রিয়া।
ভরত দেববর্মার মৃত্যুর খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাসায় ছুটে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি একজন শুভাকাঙ্ক্ষী ও আত্মীয়কে হারালাম। ভরত আমাকে খুব ভালোবাসতেন। আমাকে ওনাদের পরিবারের অংশ বলে মনে করতেন। এটা বিরাট এক ক্ষতি।’ ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে লোকসভা নির্বাচন জিতেছিলেন মুনমুন। বাঁকুড়ার সংসদ সদস্য ছিলেন এই টলিউড অভিনেত্রী।
ভরত দেববর্মা ছিলেন ত্রিপুরার রাজপরিবারের ছেলে। ত্রিপুরার মহারাজা রাজেন্দ্রকিশোর দেববর্মার ছেলে ভরত। তাঁর মা ইলা দেবী ছিলেন কোচবিহারের রাজকুমারী। আর ইলা দেবীর ছোট বোন গায়ত্রী দেবী ছিলেন জয়পুরের মহারানি। ১৯৭৮ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন মুনমুন আর ভরত। দুই মাস আগেই ভরতের জন্মদিনে একটি আদুরে পোস্ট করেছিলেন মেয়ে রাইমা। অবিবাহিত রাইমা মা–বাবার সঙ্গেই থাকেন।