বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাংস্কৃতিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মনির খান। এছাড়া জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদকও ছিলেন তিনি।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন না পাওয়ার দলের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। ওই সময় শুধু দল থেকে নয়, মনোনয়ন না পাওয়ার কষ্টে মনির খান রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। জানিয়েছিলেন, গান নিয়ে মানুষের সঙ্গে থাকবেন তিনি। বর্তমানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গে আবারও আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন তিনি। যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন দলের কেন্দ্রে। এমনই আভাস পাওয়া গেছে।
সোমবারে একটি গণমাধ্যমকে মনির খান বলেন, “আমি ঘরের ছেলে ঘরেই আছি। মাঝে দলের সঙ্গে অভিমান ছিল। আর অভিমানতো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও হয়। সেটা আবার মিটে যায়। আমার বেলায়ও তাই হয়েছে। আমি তো অভিমান করে অন্য দলে যোগ দেইনি। দলের সবার সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছেন। দলের দুঃসময়ে কাজ করেছি। আমৃত্যু জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গেই থাকতে চাই।”
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মনির খান। সেখানে নিজের সঙ্গে হয়ে যাওয়া অন্যায় ও অনিয়মের কথা তুলে ধরে বলেন, “১৫ বছর। হ্যাঁ, ১৫ বছরই তো! বুকের মধ্যে চাপা কষ্ট আর বোবা কণ্ঠ নিয়ে কেটে গেল এতগুলো বছর। আমি একজন সংগীতশিল্পী। কিন্তু বিটিভি, বেতার কেন্দ্র, শিল্পকলা এবং সরকারি কোনো অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি এই সময়ে। এমনকি অনেক বেসরকারি অনুষ্ঠানেও ডাকা হয়নি।”
এই গায়ক বলেন, “আমার নামে ১০টি ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর, নাশকতার মতো মিথ্যা, হাস্যকর রাজনৈতিক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছিল। কী অপরাধ ছিল আমার? হয়তো ভিন্ন মতের মানুষ ছিলাম-এটাই ছিল আমার অপরাধ। কখনও বলিনি আমি।”
অঞ্জনা-খ্যাত গায়ক বলেন, “ছাত্র ও তরুণ সমাজের আত্মত্যাগ ও আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে এখন বাক্স্বাধীনতার নতুন সূর্য উদিত হয়েছে, তাই বললাম। শিল্প-সংস্কৃতি চর্চায় কোনো বাধা বা দেয়াল থাকতে নেই। শিল্পীর কণ্ঠকে রোধ করতে নেই। আশা করি স্বাধীনতার এই নতুন সূর্যের আলোয় নতুন করে পাখা মেলবে শিল্প-সংস্কৃতি।”