বলিউড স্টার সালমান খান ও শাহরুখ খানেরর পর এবার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে ভারতের সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীকে। পাকিস্তান থেকে শাহাজাদা ভাট্টি নামের এক গ্যাংস্টারের পক্ষ থেকে ভিডিও বার্তায় হুমকি দেওয়া হয়েছে এ অভিনেতাকে।
ওই ভিডিও বার্তায় দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি মিঠুনের মন্তব্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগ আঘাত লেগেছে। তারই বদলা নিতে এই প্রাণনাশের হুমকি।
ভিডিও বার্তায় মিঠুনকে ক্ষমা চাইতে সময় বেঁধে দেওয়াও হয়েছে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে তাকে।
সম্প্রতি বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করতে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২৭ অক্টোবর সল্টলেকের ইজেডসিসিতে ওই কর্মসূচির এক অনুষ্ঠানে ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
সেই বক্তব্য টেনেই মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন, “আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনেই বলছি, যা করতে হয় সব করব। এই সব কিছুর মধ্যে অনেক অর্থ লুকিয়ে রয়েছে। আমাদের এখানকার এক নেতা বলেন, ৭০ শতাংশ মুসলিম, ৩০ শতাংশ হিন্দু। কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব। ভাবলাম, মুখ্যমন্ত্রী তাকে কিছু বলবেন। এমন কথা না বলতে বলবেন। কিছু হল না। আমি মুখ্যমন্ত্রী নই। কিন্তু বলে রাখছি, ভাগীরথী নদী আমাদের মা। তাই ভাগীরথীতে কেটে ভাসিয়ে দেব না। কিন্তু তোমার মাটিতেই তোমাকে পুঁতে দেব।”
ভোটারদের মধ্যে হিন্দু-মুসলিম সংক্রান্ত মন্তব্য করে প্রবীণ অভিনেতা বলেছিলেন, “এটা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলছে না। ১৯৬৮ সালের ২৮ বছর বয়সী মিঠুন বলছে। রাজনীতি করেছি। রক্তের রাজনীতি করেছি। সব জানি, কে কোথা থেকে কী করবে। আপনাদের পাশে চাই। সাহস চাই। বুক ফুলিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।”
মিঠুনের এমন মন্তব্যে ইতোমধ্যেই শহরের বেশ কিছু থানায় তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার জোড়াসাঁকো এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ মিঠুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ছাড়া, বৌবাজার থানায় এক ব্যক্তি মিঠুনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতেও তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। এবার সরাসরি পাকিস্তান থেকে হুমকির ভিডিও বার্তা। এ ব্যাপারে মিঠুন চক্রবর্তী এখনো কিছু বলেননি।