ন্যায্য পারিশ্রমিকের দাবি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে গত ২ মে থেকে পথে নেমেছেন হলিউডের লেখক ও চিত্রনাট্যকাররা। সম্প্রতি হলিউডের লেখকরা তাদের ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলেও চলছে অভিনেতাদের ধর্মঘট। এ কারণে প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে হলিউডের সকল শুটিং। যার প্রভাব পড়েছে সিনেমার মুক্তিতেও। অভিনেতা-চিত্রনাট্যকার এবং স্টুডিওগুলোর মুখোমুখি অবস্থানে টিনসেল টাউনে এক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। যার কারণে হলিউডের জনপ্রিয় স্পাই ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘মিশন ইমপসিবল- ডেড রেকনিং পার্ট টু’র মুক্তি পিছিয়ে গেছে এক বছর। সোমবার (২৪ অক্টোবর) প্রযোজনা সংস্থা প্যারামাউন্ট পিকচার্সের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রযোজনা সংস্থা প্যারামাউন্ট পিকচার্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরবর্তী ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিনেমার মুক্তির তারিখ আগামী বছরের ২৮ জুন থেকে সরিয়ে ২০২৫ সালের ২৩ মে স্থানান্তর করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি পরিচালিত ও ইথান হান্ট চরিত্রে টম ক্রুজ অভিনীত ‘মিশন: ইম্পসিবল — ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’ গত জুলাইয়ে মুক্তি পায়। এ সিনেমার পরবর্তী গল্প ‘ডেড রেকনিং পার্ট টু’। যা ক্রিস্টোফার ম্যাককুয়ারি দ্বারা লিখিত এবং পরিচালিত, যিনি টম ক্রুজের সঙ্গে এটি প্রযোজনাও করছেন।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, পার্ট ওয়ান ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজির সপ্তম সিনেমা। ২৯ কোটি ডলার বাজেটের এই সিনেমা ছাড়িয়ে গেছে আগের সব সিকুয়্যেলকে। শুধু তাই নয়, দুই ঘণ্টা ৪৩ মিনিটের ব্যাপ্তিও ছিল দীর্ঘতম রেকর্ড। তবে, ‘ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’ সিনেমার বৈশ্বিক গ্রস ছিল ৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। যা বক্স অফিস প্রত্যাশার নিরিখে হতাশাজনক। এর আগে ২০১৮ সালে সিরিজের ছয় নম্বর সিনেমা ‘ফলআউট’ আয় করেছিল ৭৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার। সিনেমাটিকে লড়তে হয়েছিল ‘বারবি’ ও ‘ওপেনহেইমার’-এর মতো হেভিওয়েট প্রতিযোগীর সঙ্গে। সেই লড়াইয়ে পিছু পড়ে যান টম ক্রুজ।