দুই বাংলার জনপ্রিয় মডেল অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি বর্তমানে অভিনয়ের পাশাপাশি শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হিসেবেও কাজ করছেন । ২০০৪ সালে লাক্স-আনন্দধারা ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় সেরা দশে স্থান করে নিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই শোবিজে পথ চলা শুরু তার। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব চলছে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন। তাই সাধারণ মানুষের মাঝে বইছে উদযাপনের আনন্দ। সেই সাথে এবারে আনন্দ শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের মনেও ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যস্ততার ফাঁকে পূজা উপলক্ষে অনেকেই গ্রামের বাড়ি যান। আবার ঢাকাতেও করেন কেউকেউ।
এবারের পূজা ঢাকাতেই করছেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। তবে নবমীর দিনে গ্রামে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, পূজা মানেই তো মজা। এবারের পূজা ঢাকাতে করছি। তবে নবমীর দিনে ময়মনসিংহের গৌরীপুর বাড়িতে যেতে পারি।’
বড় হয়ে যাওয়ার পর পূজা উদযাপন বদলেছে এই অভিনেত্রীর। সেই সঙ্গে কমেছে উপহার পাওয়ার পরিমাণও। এখন উপহার পাওয়ার চেয়ে দিতেই হয় বেশি। অভিনেত্রীর ভাষ্য, আগে অনেক গিফট পেতাম। সেই জায়গাটা পরিবর্তন হয়েছে। এখন দায়িত্ব বেড়ে গেছে তাই পাওয়ার থেকে বেশি দিতে হয়। এটার মধ্যে আলাদা মজা আছে। এখন কেবল বন্ধুর থেকেই বেশি গিফট পাই।’
পূজা এলেই জ্যোতিকা ফিরে যান শৈশব কৈশোরের স্মৃতিতে। সাথে আরও জানালেন এখনকার পূজা আর আগের মত স্মৃতি তৈরি করতে পারে না। অভিনেত্রীর কথায়, ‘ এখনকার পূজা আলাদা করে স্মৃতি তৈরি করতে পারছে না। পূজায় ছোটবেলার পূজার স্মৃতিই বেশি মিস করি। বিশেষ করে খাবারের আয়োজন, দুই বোনের একই রকমের জামা, সবাই মিলে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে বেড়ানো, মামার বাড়ির স্মৃতি, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সময় কাটানোসহ আরও কতকিছু।’
জ্যোতিকা ঢাকার ছবির বাইরে কলকাতার ছবিতেও অভিনয় করেছেন। তারও আগে থেকেই কলকাতার সঙ্গে সখ্যতা তার। তাই কলকাতায়ও কয়েকবার পূজা উৎসবে গিয়েছিলেন । সেখানকার পূজার কথা বলেতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কলকাতার তিনবার পূজা উদযাপন করার সুযোগ হয়েছে। সেখানে পূজার মজাই আলাদা। বড় বড় মণ্ডপ, বিশাল আয়োজন।’