• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩০, ১ শা'বান ১৪৪৬
জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন ২০২৫

স্বতন্ত্র চলচ্চিত্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দাবি সব অংশীজনের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৫, ০৯:২৯ এএম
স্বতন্ত্র চলচ্চিত্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দাবি সব অংশীজনের
জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন ২০২৫। ছবি: সংবাদ প্রকাশ

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের সংস্কার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত হয়েছে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন ২০২৫’। 
‘সংস্কারে চলচ্চিত্র, পরিবর্তনে দেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ফিল্ম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন প্রায় পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্র শিক্ষার্থী, শিক্ষক, নির্মাতা, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকর্মী, অভিনয়শিল্পীসহ চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত সব অংশীজন।
সংগঠনটির সভাপতি সাদমান শিহির  আগামী ৩ মাসের মধ্যে চলচ্চিত্রের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় করার দাবি জানালে জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন ২০২৫-এ চলচ্চিত্রের সব অংশীজন একমত হয়ে ১ দফা ১ দাবি, অন্তর্বর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকারকে স্বতন্ত্র চলচ্চিত্রবিষয়ক মন্ত্রণালয় অতিসত্বর গঠন করার দাবি জানান।

কেবল তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলচ্চিত্রের কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করতে গিয়ে দাপ্তরিক জটিলতা বাড়ছে বলে জানায় বক্তারা।

চলচ্চিত্র মন্ত্রণালয় গঠনের পাশাপাশি ‘চলচ্চিত্র সংস্কার কমিশন’ গঠনের মাধ্যমে অংশীজন প্রস্তাবিত সংস্কার, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
এছাড়াও -

১. বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন এর সংস্কার 
২. বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন এর গঠন পরিবর্তন 
৩. সিনেমা ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন, ই-টিকেটিং সার্ভার ও বক্স-অফিস 
৪. জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র 
৫. টিকিট শেয়ার মানি
৬. চলচ্চিত্র শিক্ষার প্রসার
৭. গাজীপুর ফিল্ম সিটি
৮. চলচ্চিত্র আমদানি-রফতানি উন্মুক্তকরণ 
৯. এন্টি-পাইরেসি সেল গঠন
১০. চলচ্চিত্রে সরকারি বিনিয়োগসহ ১৮টির  বেশি সংস্কার ,কর্ম প্রস্তাবনা এবং দাবি উপস্থাপিত হয়।  

চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব  অংশীজন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি ও মতামত প্রকাশ করেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি  তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ও বিশেষ অতিথি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তাদের রাষ্ট্রীয় কাজের ব্যস্ততার জন্য আয়োজনে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে উপদেষ্টার কাছে সম্মেলনে উত্থাপিত দাবিগুলো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ।
অফিশিয়াল প্রোমো ভিডিও প্রদর্শনের পর তথ্য মন্ত্রণালয়ের সার্চ কমিটির আহব্বায়ক ও বাংলাদেশ ফিল্ম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন এর সাবেক সভাপতি আল আমিন রাকিব তনয়ের সঞ্চালনায় সব অংশীজনের প্রস্তাবিত দাবি ও বাস্তবায়ন রূপ রেখা উপস্থাপন করা হয়।

এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জারিন তাসনিম রোজা। এরপর জুলাই বিপ্লবের শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বিশেষ অতিথি  সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন,  আমি ঘটনাচক্রে উপদেষ্টা হলেও আমি আসলে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় চলচ্চিত্র সংস্কারে এবং তাকে প্রাধান্য দিতে এখনো ব্যর্থ। যখন আমি শুধু একজন নির্মাতা ছিলাম, তখন আমিও সরকারকে দোষারোপ করতাম; তবে সরকারের অন্তর্ভুক্ত হয়ে রিয়েলাইজ করেছি যে প্রতিনিয়ত নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। উপদেষ্টা হওয়ার পরও আমার ধারণা নেই যে আমাদের দেশে কতজন ক্রু আছে। আমিও বিশ্বাস করি, চলচ্চিত্রের আলাদা মন্ত্রণালয় হওয়া উচিত। স্টেকহোল্ডারদের একটি নীলনকশা তৈরি করা উচিত, যার তত্ত্বাবধানে একটি কর্মশালার ব্যবস্থা করা হবে; যা আমাদের চলচ্চিত্র সংস্কারে প্রথম ধাপ হবে। তো, বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাসোসিয়শনের কাছে আমার অনুরোধ যে, আপনারা রাস্তায় নামেন, আমাদের বাধ্য করেন যাতে আমরা তৎপর হই চলচ্চিত্র সংস্কারে।

Link copied!