• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মেহজাবীনের প্রশ্ন, গণপিটুনিকে নরমালাইজ করা হচ্ছে কেন?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ০৩:১৮ পিএম
মেহজাবীনের প্রশ্ন, গণপিটুনিকে নরমালাইজ করা হচ্ছে কেন?
অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ছবি: ফেসবুক থেকে

টিভি নাটকের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী।  বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছেন সম্প্রতি।  ক্যারিয়ারের অসংখ্য নাটকের মাধ্যমে ভক্তদের মন কেড়েছেন। নাটকের পাশাপাশি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেও সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব থাকেন। অনুরাগীদের মাঝে নিজের ভালো লাগা খারাপ লাগার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে তোফাজ্জল নামে এক ভারসাম্যহীন যুবক। তার মৃত্যুর ঘটনায় মেহজাবীন সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। পোস্টে উল্লেখ করেছেন যে, ‘গণপিটুনিকে নরমালাইজ করা হচ্ছে কেন?’

মেহজাবীনের এমন পোস্টে  ভক্ত-অনুরাগীরা তার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন। কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন, ‘আবরার ফাহাদ সে তার শেষ সময়ে একটু পানি চেয়েছিলো এবং তোফাজ্জল ভাই কে ভাত খাওয়ানো হয়। দুই ঘটনা একই রকম মনে হয় আমার এর বিচার আজকের ভিতর করা দরকার, কে মেধাবী কে ঢাবি ছাত্র এইসব এখন আর দেখার সময় না। বিচার করতে হবে, মানে করতে হবে।’

মৌসুমী মম নামে একজন লিখেছেন, ‘বিচার বহির্ভূত হত্যার সাথে যারাই জড়িত থাকবে তারাই খুনি। খুনি মানে খুনি। আওয়ামী লীগ করুক, বিএনপি করুক আর জামায়াতে ইসলাম করুক, মেধাবী, সমন্বয়ক যেই হোক সে খুনিই। একইভাবে তাকে বিচারের সম্মুখীন করে প্রকাশ্যে শাস্তি দিতে হবে। তবে এই বাংলাদেশ স্বাধীনতার ফল উপভোগ করতে পারবে। নয়তো হাজার বার স্বাধীনতা যুদ্ধ করেও স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়া যাবে না।’

শাহরিফ সরকার নামে এক ভক্ত বলেন, ‘যাই হোক দোষটা অন্য দলের ওপরে চাপায় দিতে পারলেই কেন জানি সবাই ভাবে বেঁচে যাবে। অন্যায় শুধু অন্যায় এখানে দল টানার কি আছে?’ আরেকজনের ভাষ্য, ‘বর্তমানে যে অবস্থা এই সমাজের অপরাধীর কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা না হলে, তা অনেক ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করবে।’

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে তোফাজ্জল নামে এক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করে এজাহার দায়ের করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

পরে আবেদনটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার আমান উল্লাহ এ মামলার আবেদন করেন।

Link copied!