বিশ্বব্যাপী মুক্তির পর থেকেই সমালোচনার ঝড় বইলেও বক্স অফিসে আয়ের রেকর্ড গড়ে যাচ্ছে বলিউড সিনেমা ‘অ্যানিমেল’। রণবীর কাপুর অভিনীত সিনেমাটি যতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে ঠিক ততটায় আলোচিত হয়েছে সিনেমার একটা গান। রিলস হোক বা ভিডিও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুললেই যেন একটাই গান। ‘জামাল-কাদু’ বা ‘জামাল জামালু’ গানের তালে মোহিত নেটিজেনরা।
গত ১ ডিসেম্বর সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার পরিচালনায় ‘অ্যানিমেল’ সিনেমাটির গান শ্রোতাদের মনে দারুণভাবেই জায়গা করে নিয়েছে। গানগুলোর মধ্যে ট্রেন্ডিং এর শীর্ষে রয়েছে ‘জামাল-কাদু’। সিনেমার খল অভিনেতা ববি দেওলের চরিত্র আবরার হক যখন প্রথমবার সিনেমায় দেখা দেন, তখন বেজে ওঠে গানটি। তবে এটি কোনো ভারতীয় গান নয়। ইরানের এক লোকসংগীত।
জানা যায়, ১৯৫০ সাল নাগাদ দক্ষিণ ইরানে প্রথমবার স্কুলে গানটি গেয়ে উঠেছিলেন একদল তরুণী। খারাজেমি গার্লস হাই স্কুলে তরুণীদের গাওয়া যে গানটিই ক্রমশ হয়ে ওঠে ইরানের পারস্যের সংস্কৃতির অঙ্গ। এমনকি ইরানের বিয়ের অনুষ্ঠানে যে গানটি গেয়ে ওঠা হয়ে ওঠে রেওয়াজ। খাতারে গ্রুপের মাধ্যমে আরও প্রচার পায় গানটি। সেই প্রখ্যাত লোকসংগীতটিকেই ব্যবহার করা হয়েছে ‘অ্যানিমেল’ সিনেমাতে।
সিনেমায় তৃতীয় বিয়ের দৃশ্য দেখানোর মাধ্যমে পর্দায় প্রথমবার দেখানো হয় ববি দেওলকে। যার সুবাদেই এই গানটিকে বেছে নেওয়া হয়। আর সেই গান এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল।
‘জামাল-কাদু’ গানের অর্থ ‘ও প্রিয়, খেলো না আমার হৃদয় নিয়ে, তুমি চলেছো নতুন যাত্রায়, যাচ্ছ অন্য কোথায়, আর আমি হয়ে উঠছি পাগল, ও প্রিয়’। পঞ্চাশের দশকের ইরানি স্কুলছাত্রীদের গাওয়া গানটি ‘অ্যানিমেল’সিনেমার জন্য নতুন সংস্করণ তৈরি করেন সংগীতশিল্পী হর্ষবর্ধন রামেশ্বর। ফারসি ভাষায় লেখা গানটি ইরানি কবি বিজান সামান্দারের কবিতার গীতিরূপ। গানটি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ববি দেওল জানান, চেনা ছক ভাঙার কথা বলেছিলেন পরিচালক। তাই ওভাবে নেচে খানিক অন্যরকম একটা চরিত্র প্রতিষ্টা করার ছিল।
পিতা পুত্রের ভালোবাসা ও দ্বন্দ্বের গল্পে ‘অ্যানিমেল’ নির্মিত হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি রুপি বাজেটে। এতে রণবীর কাপুরের সঙ্গে আছেন রাশমিকা মান্দানা, অনিল কাপুর, ববি দেওল, শক্তি কাপুর, প্রেম চোপড়া, সৌরভ সচদেব প্রমুখ। হিন্দির পাশাপাশি তামিল, তেলুগু, কন্নড় ও মালয়ালাম ভাষায় দেখা যাচ্ছে এই সিনেমাটি।