• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

মনি কিশোরের যে গানগুলো ঝড় তুলেছিল


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
মনি কিশোরের যে গানগুলো ঝড় তুলেছিল
কিশোর কুমারের সঙ্গে মিল রেখে নাম রেখেছিলেন মনি কিশোর। ছবি: সংগৃহীত

এক সময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। রেডিও, টিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হলেও সেখানে খুম কম গানই গেয়েছেন। সিনেমাতেও তেমন গাননি। মূলত, অডিওতেই কাজ করেছেন সবচেয়ে বেশি।

সংগীতাঙ্গনে মনি কিশোর নামে পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম ছিল মনি মণ্ডল। তিনি কিশোর কুমারের ভক্ত ছিলেন বলে নামের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন ‘কিশোর‘।

কিশোর কুমার ভক্ত মনি কিশোরের সর্বশেষ অ্যালবাম বেরিয়েছিল প্রায় এক যুগ আগে। তবে মাঝে মধ্যে রেডিও, টিভিতে গেয়েছেন। অনিয়মিতভাবে স্টেজ শো করতেন। আর সেসব শোতে তার জনপ্রিয় গানগুলো নতুন করে শ্রোতার মনে ঝড় তুলত।

নব্বই দশকে মনি কিশোরের যেসব গান ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল সেগুলোর শীর্ষে ছিল, ‘কী ছিলে আমার/ বলো না তুমি?/ আছিতো আগেরই মতো এখনো আমি/ ভুলে কি গেছ তুমি বাসরেরই কথা/ আজো তা রয়েছে আমার স্মৃতিতে গাঁথা...।

এছাড়া আরেক জনপ্রিয় গান- ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি কাঁদবে না/ ওখানেই শেষ করে দিও/ চাইব না কিছুই তোমার/ শুধু, মনে রেখো কোনো একদিন/ ভালোবেসে ছিলাম তোমায়...।’

মনি কিশোরের বিরহের আরেকটি গান- ‘ফুল ঝরে, তারা ঝরে, প্রেম ঝরে না/ প্রেমিকের দেহ মরে, মন মরে না/ তেমনই প্রেম দিয়ে বেঁধেছি তোমাকে/ পারো যদি, যাও ছেড়ে তুমি আমাকে...।’

‘মুখে বলো ভালোবাসি’ গানটি মুখে মুখে ফিরত এক সময়। ‘মুখে বলো ভালোবাসো/ কাছে ডাকি কাছে আসো না/ যা বোঝার বুঝেছি আমি/ আসলে আমায় তুমি ভালোবাসো না...।’

আরেকটি গান ভক্তদের কাছে সমান জনপ্রিয় ছিল, ‘আমি ঘরের খোঁজে ঘর হারাইয়া/ হইলাম যাযাবর/ আপন করে চাইলাম যারে/ সে-ই তো হইলো পর...।’

এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়ে কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর ভক্তদের হৃদয়ে ঝড় তুলেছিলেন। তার গানের বেশিরভাগই বিরহের। যা তরুণদের মন ছুঁয়ে যেত। শহরের বাইরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তার গানের ভক্ত বেশি ছিল।

এক সময়ে তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীর মৃত্যু হয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর রামপুরায় বিটিভি ভবনের পেছনের একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেছেন, “ভাড়াবাসায় একাই থাকতেন মনি কিশোর। বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। বাড়িওয়ালা ভাড়া নিতে গিয়ে অনেকবার কলিংবেল বাজিয়েও সাড়া পাচ্ছিলেন না। তবে ভেতর থেকে দুর্গন্ধ আসায় তার সন্দেহ হয়।”

ওসি আতাউর রহমান আরও বলেন, “পরে বাড়িওয়ালা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশ ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে।” ওসি আরও বলেন, “মরদেহ পচতে শুরু করেছে। কয়েক দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে।”

পুলিশ আরও জানায়, মনি কিশোরের স্ত্রীর সঙ্গে অনেক আগেই বিচ্ছেদ হয়েছে। তার একমাত্র মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। মনি ভাড়াবাসায় একাই থাকতেন। ধারণা করা হচ্ছে, অসুস্থতাজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। 

Link copied!