• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্পীদের স্ক্রিনশট নিয়ে মুখ খুললেন মামুনুর রশীদ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪, ১০:৫৬ এএম
শিল্পীদের স্ক্রিনশট নিয়ে মুখ খুললেন মামুনুর রশীদ
মামুনুর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সমর্থিত শোবিজ তারকাদের ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের স্ক্রিনশট ফাঁসে উত্তাল নেটদুনিয়া। ওই গ্রুপের আন্দোলনকালীন সময়ে তাদের মধ্যে নানান বিষয় নিয়ে কথোপকথন চলতো তাদের মধ্যে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর লক্ষ্যে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়, যাতে আওয়ামীপন্থী শিল্পী ও সাংবাদিকেরা যুক্ত ছিলেন।

সম্প্রতি ‘আলো আসবেই’ নামে সেই গ্রুপের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে। স্ক্রিনশট ফাঁস হওয়ার পর শিল্পীদের এই বিভক্তির কারণে মিডিয়ায় বিরাজ করছে অস্থিরতা। শিল্পীদের সেই সম্পর্কটা এতটাই নিচে নেমেছে যে একে অন্যের নাম নিয়ে ধিক্কার জানাচ্ছেন, বিচারের দাবিও করছেন কেউ কেউ। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুললেন বরেণ্য অভিনেতা মামুনুর রশীদ। সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য শিল্পীদের নিজ দায়িত্বে ক্ষমা চাওয়া কথাও বলেছেন তিনি।

মামুনুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিল্পীরা সেই গ্রুপে এমনটা করে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেননি। তারা এমন সব কমেন্ট করেছেন, যেটা ক্ষমার অযোগ্য। এসব উক্তি একজন শিল্পীর কাছ থেকে অনভিপ্রেত বলে মনে করি। গরম পানি ঢেলে দাও-এটা একজন শিল্পী বলতে পারেন না। যারা এসব উক্তি করেছেন, তাদের দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে।’

গোপন গ্রুপে স্ক্রিনশট নিয়ে শিল্পীদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে বলেও মনে করেন এই নাট্যজন। সেই সঙ্গে অনেক শিল্পী হয়রানির শিকারও হচ্ছেন বলে মনে করেন বিশিষ্ট এই অভিনেতা।।

মামুনুর রশীদ বলেন“ ‘আমি শিল্পীদের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন লক্ষ করছি, যেটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এটা যে কিভাবে সমাধান হবে, সেটাই বুঝতে পারছি না। আমার মনে হয়, সেই শিল্পীদের উচিত হবে নিজ দায়িত্বে ক্ষমা চাওয়া। তবে এত দিন পরে এই কথাগুলো তুলে আরো বিভাজন সৃষ্টি করা উচিত নয়। যে স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস হয়েছে, সেখানে অভিনয়শিল্পীদের ফোন নম্বর দেওয়া ছিল। এর কারণে অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এটাও তো ঠিক নয়।”

জনপ্রিয় নাট্যজন মামুনুর রশীদ। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের বরেণ্য এই অভিনয়শিল্পী অভিনয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন পাঁচ দশকের বেশি সময়। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের মঞ্চ আন্দোলনের পথিকৃৎ তার নাটকে শ্রেণিসংগ্রাম, ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অধিকার আদায়ের নানা আন্দোলনসহ বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু তুলে ধরেন। লেখা ও নির্দেশনার মাধ্যমে হয়ে উঠেছেন নাট্যজগতে অপরিহার্য  একজন।

Link copied!