চলচ্চিত্র সোনালি সময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দুই দফায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন পর আবারও সমিতির নির্বাচনে ফিরেছেন। তিনি নিপুণ প্যানেলের সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন।
আগেরবার বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন নিপুণ আক্তার। জয়ী হয়েছিলেন। তবে জটিলতা বাধে নিপুণের পদ নিয়ে। জয়-পরাজয় নিয়ে নিপুণ-জায়েদ খানের দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালত পর্যন্ত।
এরই মধ্যে দ্বিবার্ষিক কমিটির মেয়াদ ফুরিয়েছে। দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন নির্বাচন। নানা সমস্যার কারণে ইলিয়াস কাঞ্চন ছেড়েছেন নিপুণের হাত। ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না তিনি। আবারও অথই সাগরে তিনি। সভাপতি কে হচ্ছেন?—এমন প্রশ্নে জেরবার নিপুণ। গুঞ্জন উঠেছে, শাকিব খান, অনন্ত জলিলসহ বেশ কয়েকজনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিপুণ। কিন্তু কারও কাছ থেকেই মেলেনি ইতিবাচক সাড়া।
তবে নিপুণ যে কখনোই হাল ছেড়ে দেন না, সেটি পরিষ্কার হয়েছিল তার আগের নির্বাচনেই। এবারও সেটাই প্রমাণ করলেন তিনি। বহু জল ঘোলার পর অবশেষে নায়ক মাহমুদ কলির হাত শক্ত করে ধরলেন নিপুণ।
রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতারের পর এফডিসিতে নিজ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থীর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিপুণ আক্তার। এ সময় নিপুণের সঙ্গে ছিলেন মাহমুদ কলিসহ অনেকে।
নিপুণ বলেন, ‘আমি সব সময় চেয়েছি, যাঁরা আগে শিল্পী সমিতির পদগুলোতে ছিলেন, তাঁরাই যাতে আসেন। সেই ভাবনা থেকেই আগেরবার ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেবকে নিয়ে নির্বাচন করেছি। তার সঙ্গে দুই বছর কাজ করেছি। এবারও চাচ্ছিলাম এমন কাউকে আনি, যিনি সংগঠনটি সম্পর্কে জানেন, বোঝেন এবং এই সংগঠন যাঁদের হাত ধরে এই পর্যায়ে এসেছে; মাহমুদ কলি সাহেব তেমনই একজন। উনি সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদেও ছিলেন। আমি মনে করি, আমার পাশে একজন যোগ্য সভাপতি দাঁড়িয়ে আছেন। আশা করছি, উনি আমাকে পথ দেখাতে পারবেন।’
সভাপতি পদের জন্য সবার সমর্থন ও দোয়া চেয়েছেন মাহমুদ কলি। সত্তরের দশকে ঢাকাই চলচ্চিত্রে আসেন এই জনপ্রিয় নায়ক। আশির দশকে বহু ছবিতে অভিনয় করে সফলতা অর্জন করেন তিনি।
নিপুণ-কলির বিপরীতে সংগঠনের নেতৃত্বের জন্য লড়বেন ডিপজল ও মিশা সওদাগর প্যানেল। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।