বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে ২০২৩। শোবিজ জগতের জন্য বছরটি ছিল বেশ ঘটনাবহুল। বছরজুড়ে তারকাদের বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনা শিরোনামে উঠে এসেছে। সেই সঙ্গে জীবনের ভ্রমণ শেষ করে এ বছরও বিনোদন অঙ্গনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কয়েকজন গুণী চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন। তাদের বিদায় যেমন শোকাতুর করেছে, ভাবিয়েছে ও কাঁদিয়েছে দেশের সিনেমাপ্রেমী মানুষের মন। তবে তারা বেঁচে থাকবেন কাজে, স্মৃতিতে। এ বছর না ফেরার দেশে চলে যাওয়া তারকাদের নিয়ে আজকের এ আয়োজন–
এম খালেকুজ্জামান- বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অভিনেতা এম খালেকুজ্জামান ২১ মার্চ নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খালেকুজ্জামান স্কুল-কলেজ জীবনে অসংখ্য মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। বিটিভিতে প্রথম নওয়াজেশ আলী খানের প্রযোজনায় ‘সর্পভ্রমে রজ্জু’ নাটকে অভিনয় করেন তিনি।
হুমায়রা হিমু- ২ নভেম্বর মারা যান অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু। জানা যায়, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে তার মৃত্যু নিয়ে এখনো রহস্য রয়ে গেছে।
পিয়ারী বেগম- ৩০ মে বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ নারী চরিত্রে অভিনয় করা পিয়ারী বেগম নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৬।
রাজীব আশরাফ- ‘হোক কলরব ফুলগুলো সব/ লাল না হয়ে নীল হলো ক্যান– অর্ণবের গাওয়া তুমুল জনপ্রিয় এ গানসহ আরও অনেক গীতিকবিতার রচয়িতা রাজীব আশরাফ ১ সেপ্টেম্বর মারা গেছেন। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
শফি বিক্রমপুরী- চলচ্চিত্রকার ও রাজনীতিবিদ শফি বিক্রমপুরী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ অক্টোবর মারা যান। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি।
১৯৪৮ সাল থেকে পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন এই নির্মাতা। ১৯৬৫ সালে দক্ষিণাঞ্চলের লোকজ প্রেমকাহিনী অবলম্বনে নির্মিত ‘গুনাই বিবি’ সিনেমাটি যৌথ প্রযোজনার মাধ্যমে তিনি প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। সে সময় হলিউডের বিখ্যাত ইংরেজি ছবি ‘এঞ্জেলিক’ এবং ‘ফান্টুমাস’ সিনেমা দু’টি পরিবেশনাও করেন।
তারেক মাহমুদ- রাজধানীর কমিউনিটি হাসপাতালে মারা যান নাট্যনির্মাতা ও অভিনেতা তারেক মাহমুদ। ২৬ অক্টোবর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।