ব্যক্তিগত সহকারী খুঁজছেন ২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ খ্যাত জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। মডেলিং, অভিনয়, উপস্থাপনার পাশাপাশি পেশায় তিনি একজন আইনজীবীও। সুপ্রিম কোর্টে তিনি কাজ করেন। এতোদিন ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে কাজ করলেও এবার নিজের জন্যই সহকারী খুঁজছেন পিয়া।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে নিজের জন্য ব্যক্তিগত সহকারী চেয়ে একটি জব সার্কুলার (চাকরির বিজ্ঞাপন) দেন পিয়া। সেখানে নিজের প্রত্যাশা কেমন ও আবেনকারীদের যোগ্যতা কেমন হবে- সে সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেন তিনি।
পোস্টে পিয়া লেখেন, ‘আমি একজন অত্যন্ত উৎসাহী ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে যোগদানের জন্য খুঁজছি। যিনি আমার সঙ্গে অফিসে এবং বাইরে- উভয়দিকেই কাজে সহযোগিতা করতে আগ্রহী থাকবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই নমনীয় হতে হবে এবং কাজ সম্পর্কিত আমার সাথে ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

নিজের পোস্টে ই-মেইল অ্যাড্রেসটিও যোগ করে দেন পিয়া। আর সেখানে আবেদন করতে থাকেন আগ্রহীরা। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এক পর্যায়ে খানিকটা বিব্রত প্রকাশ করেন পিয়া জান্নাতুল। কারণ, সেই পোস্টে চাকরি প্রত্যাশীদের আগ্রহ ছিল তুলনামূলক বেশি। পিয়ার দাবি, অনেকে বেশিই উৎসাহ প্রকাশ করছেন যা অপ্রয়োজনীয়। তাদের উদ্দেশ্যে বিনীত অনুরোধও রাখেন পিয়া।
পিয়া পোস্টের মন্তব্যের ঘরে লেখেন, ‘অনুগ্রহ করে আপনার কাজের বিবরণটি বুঝুন। আপনি যদি ঢাকা বা দেশের বাইরে থাকেন, তাহলে আবেদন পাঠাবেন না। ১৫ মিনিটে ১০০ আবেদন পেয়েছি। দয়া করে আপনার ও আমার- উভয়েরই সময় নষ্ট করবেন না।’
২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে মডেলিংয়ে যাত্রা শুরু করেন পিয়া। এরপর ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা এবং মিশরে ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ার সাফল্য অর্জন করেন তিনি। তারপর ২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রে ‘সুজানা’ চরিত্রে অভিনয় করে হন প্রশংসিত।
সে বছরই শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘আবার হাসিমুখ’ গানের মিউজিক ভিডিওতে তাকে দেখতে পাওয়া যায়। পরে ২০১৫ সালে তিনি একই সঙ্গে বেশ কটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’, ‘দ্য স্টোরি অব সামারা’। এর মধ্যেই লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিস থেকে আইন বিভাগে স্নাতক শেষ করেন পিয়া। বর্তমানে উচ্চ আদালতে আইনজীবী পেশাতে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।