ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি সরকারকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে গাজীপুর আদালতে নিয়ে মাহির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালতের বিচারক রিমান্ড মঞ্জুর না করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে বিকেল ৫টার দিকে মাহিয়া মাহিকে জামিন দেন আদালত।
এদিকে মাহিকে গ্রেপ্তার করায় ক্ষুব্ধ বিনোদন অঙ্গনের অনেকে। তারা এ ব্যাপারে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তবে এব্যাপারে একদম নিরব ভূমিকা পালন করছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার বলেন, “এটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপার। মেইনলি সমস্যা হচ্ছে, মাহি ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাকে দেখলাম কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। আদালতের বিষয়টা নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।
তবে ওকে যেখানেই রাখুক, কমফোর্টেবল জোন ও সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হোক। ওর বাদী হয়েছে পুলিশ, আমরা সাধারণ পাবলিকেরা তো পুলিশের ওপর কিছু বলতে পারব না। কারণ, পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। তাই এটা রাষ্ট্রীয় ইস্যু। এই ইস্যু নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না।”
নিপুণ আক্তার আরও বলেন, “আমরা কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নই। আর মাহির এই বিষয়টা আইন থেকে আদালতে গিয়েছে। আদালত কিন্তু কারাগারে পাঠিয়েছেন, পুলিশ না। পুলিশ শুধু তাকে গ্রেপ্তার করেছে, আদালতে যাওয়ার পর আদালতই তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। আমিও নিইনি, আপনিও নেননি, পুলিশও নেয়নি, নিয়েছে আদালত। রাষ্ট্রের কোনো মানুষকে নিয়ে যখন কথা বলবেন, এটার সত্যতা যদি থাকে তাহলে ভালো। হয়তো মাহির কথায় সত্যতা ছিল কিছু একটা। সত্যতা থাকলে সে যদি প্রুফ করতে পারত, তাহলে কারাগারে যেতে হতো না। কোনো কিছু শুনে, আমার জায়গা দখল হয়ে গিয়েছে, আমি বলতে পারি না কেউ ঘুষ খেয়েছে। পুলিশ কমিশনার যে দেড় কোটি টাকা নিয়েছে এটা কি আমি দেখেছি? আমি কিন্তু দেখি নাই। আমি শুধু এটুকুই বলব, মাহি ইজ আ প্রেগন্যান্ট। মাহির কমফোর্টবল জোনটা আশা করছি। আমি দ্রুত মাহির শ্বশুরবাড়ি ও হাজবেন্ডকে অনুরোধ করব, তার হাজবেন্ড যেখানেই আছেন, দ্রুত যেন বাংলাদেশে আসেন। এসে যাতে তার ওয়াইফের নিরাপত্তাটা যেন দেয়।”
সম্প্রতি মাহিয়া মাহি পবিত্র ওমরাহ পালন করতে স্বামীর সঙ্গে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই শুক্রবার (১৭ মার্চ) ভোরে ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ তোলেন, গাজীপুরে অবস্থিত তাদের গাড়ির শোরুমে হামলা-ভাংচুর চালানো হয়েছে। ওই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগও তোলেন তারা। এদিন রাতেই মাহি-রকিবের বিরুদ্ধে মামলা করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। সেই সূত্রে দেশে ফেরা মাত্রই মাহিকে গ্রেপ্তার করা হয়।