‘প্রিন্স মামুন’ ও ‘ব্ল ফেইরি লায়লা’ এই নামেই নেটিজেনদের কাছে পরিচিত। কন্টেন ক্রিয়েটর হিসেবে টিকটকে বেশ জনপ্রিয় দুজনই। বয়সের ব্যবধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একসঙ্গে বিভিন্ন কন্টেন তৈরি করেছেন তারা। তবে তাদের মধ্যেই কয়েকদিন পরপরই বিচ্ছেদের সুরও বাজে আবার ঠিকও হয়ে যায়। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে বিরক্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকেই। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা দিয়ে আবারও আলোচনায় এই দুই কন্টেন ক্রিয়েটর।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে লায়লা ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ করেন মামুন মদ খেয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করছে। এ সময় লায়লা অভিযোগ করে বলেন, “মোবাইল দিয়ে মেরে তার চেহারা বদলে দিয়েছে প্রিন্স মামুন।”
মামুনের প্রতি অভিযোগ করে লায়লা আরও বলেন, “মামুন তার মোবাইল কেড়ে নিয়েছে এবং তার ফেসবুক পেজ, টিকটক অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিয়েছে। ফলে সে নতুন একটি পেজ থেকে লাইভে এসেছে।”
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনভর বিভিন্ন গণমাধ্যমে কথা বলেন লায়লা। এরপরেই নতুন একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন লায়লা। যেখানে মামুনের একটি ভয়েস রেকর্ড থেকে শোনা যায়– লায়লার কাছ থেকে মামুন ৩০ লাখ টাকা নিয়েছেন।
ফেসবুকে প্রকাশ করা ওই অডিওতে মামুনকে বলতে শোনা যায়, “তোমাকে মুরগির মতোনই ভাবছি। মালদার পার্টি আছে। রিলেশন বা কিছু একটা করলে টাকা পয়সা পাওয়া যাবে। তুমি তো আর সুন্দরী নও, ঐশ্বরিয়া নও যে তোমাকে ভালোবাসবে। তুমি... তোমাকে ছোট করতে চাইলে আরো অনেক কিছু করা যাবে। বহুত কিছু বলা যায়। তোমাকে তো তখন অন্যরতকম দেখা গেছে, আরো খারাপ ছিলা।”
অপর একটি অডিওতে মামুনকে বলতে শোনা যায়, “আমি তো অমানুষ, অকৃতজ্ঞ। এমন কাউকে বেছে নিও, খুঁজে নিও। আমার পেছনে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ করছ। তোমার সঙ্গে এখন ব্রেকআপ।”
এর আগেও লাইলা তার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে মামুনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছিলেন। সেসময় তিনি বলেন, “মামুন আমার বাড়ি নিজের নামে লিখে নিতে চাই। আমাকে ধোঁকা দিয়েছে সে।” এই ঘটনার কিছুদিন পরেই আবার দুজনকে একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়। যার কিছুদিন পরেই আবারও মামুন-লায়লার নতুন কাণ্ড শুরু হয়েছে।