বলিউডের জনপ্রিয় নায়ক সালমান খান। বয়স প্রায় ষাট পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও যেন তরুণ। অভিনয়ের পাশাপাশি ফিটনেস ধরে রেখেও সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এই নায়ক। সালমান যে পোশাক পড়ুক না কেন তার হাতে থাকে একটি নীল আকাশী রঙের ব্রেসলেট।
এই সুপারস্টারের অনেক ভক্ত তাকে অনুসরণ করে ব্রেসলেট পরে থাকেন। তবে এই ব্রেসলেটের রহস্য অনেকেই হয়তো জানেন না। কেন ভান এই ব্রেসলেটে পরে থাকেন?
বাড়িতে থাকুন আর কিংবা বাইরে রূপার তৈরি এই ব্রেসলেটখানা সবসময় সালমান খানের হাতে দেখা যায়। নিজের থেকে কখনোই নাকি এটিকে আলাদা করতে চান না এই নায়ক। শুধু সিনেমায় চরিত্রের প্রয়োজনে সাময়িক সময়ের জন্য খুলে রাখতে হয় তাকে।
এ ব্যাপারে সালমান একবার জানিয়েছিলেন, তার বাবা সেলিম খানের কাছেও একই ব্রেসলেট ছিল। সেলিম সব সময় সেটি পরে থাকতেন। পরে অভিনেতা সেই ব্রেসলেট বাবার থেকে নিয়ে পরতে শুরু করেন। তবে ব্রেসলেটটি তিনি তখন পরে থাকতেন ফ্যাশনের জন্য।
ভাইজান খ্যাত এই নায়ক বলেন, আমার বাবা সব সময় এটা পরতেন। আমি যখন বড় হচ্ছিলাম তখন আমিও এটা পরতে শুরু করি। আমার হাতে ব্রেসলিটটি মানাত খুব। যেমন বাচ্চারা খেলনা নিয়ে খেলে আমিও ব্রেসলেট নিয়ে খেলতাম।
এই অভিনেতা আরও জানান, এরপর যখন তিনি বলিউডে পা দেন, তখন তার বাবা সেলিম একই রকম একটি ব্রেসলেট তাকেও এনে দেন।
একবার এক বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে সালমান আরও বলছিলেন, আমার ব্রেসলেটের মধ্যে এই যে পাথরটা দেখছেন, একে ফিরোজা বলে। এ ধরনের জীবন্ত পাথর দুটি রয়েছে। একটা হলো গ্রিক আর একটা ফিরোজা।
নিজের ডান হাতের ব্রেসলেটটিকে সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করেন সালমান খান। তার দাবি, সমস্ত নেতিবাচক মনোভাব বুঝে নেয় ফিরোজা। পাশাপাশি দাবি করেছিলেন, প্রত্যেক বার অশুভ কিছুর মুখোমুখি হলে তা নাকি ফিরোজা বুঝতে পেরে যায়।
তিনি বলেন, নেতিবাচক কোনো কিছু আমার দিকে ধেয়ে এলে এই পাথর তা আটকে দেয়। পাথরের শিরায় সেই অশুভ শক্তিকে শুষে নেয় ফিরোজা। সে কারণেই তাতে চিড় ধরে যায়।