নব্বইয়ের দশকের শেষে অকালপ্রয়াণ ঘটে সালমান শাহর। এরপর তীব্র নায়ক-খরায় ভুগছিল ঢালিউড। পরে চিত্রনায়ক মান্না টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন দেশীয় চলচ্চিত্রকে। ২০০৮ সালে তারও প্রয়াণ হয়। তখন প্রশ্ন আসে, কে বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির তারকা নায়কহীনতা পূরণ করবেন? তারও আগে থেকে প্রভা ছড়ানো শাকিব খান হয়ে ওঠেন সেই অবস্থায় একমাত্র দিশা। শাকিব খান ‘ঢালিউড কিং’ হয়ে আজকের দিন পর্যন্ত দেশের জনপ্রিয় ধারার চলচ্চিত্রে সবচেয়ে বড় আস্থার নাম। অনেক বিতর্ক সত্ত্বেও তিনি দর্শকনন্দিত। আরও বড় কথা, সিনেপ্রযোজকরা তার ওপর বিনিয়োগে পান নির্ভরতা।
শোবিজে শাকিব খান নামে পরিচিত এ নায়কের আসল নাম ‘মাসুদ রানা’। ১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। শাকিবের বাবা ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা ছিলেন গৃহিণী। বাবা-মা ছাড়া আরও দুই ভাই-বোন আছে তার।
শাকিবের শৈশব কেটেছে বন্দর নগরী নারায়ণগঞ্জে। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন সিনেমাপাগল। নিজের আগ্রহ থেকে বড় হতে হতে তার এফডিসিমুখী যাতায়াত।
প্রথম সুযোগ আসে ১৯৯৯ সালে। ‘অনন্ত ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে শাকিবের। এরপর থেকে তার ক্যারিয়ারের গতিপথ ঊর্ধ্বমুখী। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১২ সালে ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’, ২০১৪ সালে ‘খোদার পরে মা’, ২০১৬ সালের ‘আরও ভালোবাসবো তোমায়’ ও ২০১৭ সালে ‘সত্তা’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন শাকিব।
আজকের শাকিব খান শুধু একজন নায়ক নন। তিনি ছবি প্রযোজনাসহ আরও বহু কিছুর নিয়ন্ত্রক। তার ব্যক্তিজীবনের কিছু ঘটনা অনেকের পছন্দ না-ও হতে পারে। কিন্তু ঢাকাই ছবির বাস্তবতায় তার প্রভাব অস্বীকারের সুযোগ নেই কারও।
৪৪ বছরে পা রাখা শাকিব খান এখন অবশ্য খুব একটা সস্তিতে নেই। চলচ্চিত্রের বাইরের বিষয় নিয়ে তিনি ব্যস্ত। অভিযোগ ও মামলাসংক্রান্ত বিষয়ে কয়েক সপ্তাহজুড়ে তিনি আলোচনায়। শাকিব কি পারবেন ‘ক্লিন ইমেজ’ নিয়ে ফিরতে? খুব কাছের ভবিষ্যতে নিহিত এর উত্তর।