ভারতীয় জনপ্রিয় গীতিকার, সংগীতশিল্পী ও সাবেক লোকসভা সদস্য কবীর সুমন। দেশের ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত সব বিষয় নিয়ে ফেসবুকে সরব রয়েছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে । উত্তেজনাপূর্ণ বাক্যও মিনিময় হচ্ছে দু-দেশের মধ্যে।
এরই মধ্যেই সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি। একদিনের এই সফর সংক্ষিপ্ত হলেও এই সময়ে এই সফরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষকরা।
এর মধ্যেই উত্তেজনা কমাতে দুই দেশের মানুষদের মধ্যে মুক্ত সংলাপ এবং সম্প্রীতি তৈরির লক্ষ্যে ‘শান্তিসেতু’ নিয়ে এসেছেন
এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে একটা অকাম্য উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে একাধিক বিষয়ে পারস্পরিক দোষারোপ। আমাদের এই দুটি দেশই সরাসরি প্রতিবেশী। জীবনের এমন কোনও ক্ষেত্র নেই, যেখানে এই দুটি দেশের বিবিধ দৈনন্দিন অভ্যেস ও সংস্কৃতি এক নয়। সবচেয়ে যা উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ভাষা এক, যদিও বাংলাদেশে ও পশ্চিমবঙ্গে অন্য ভাষাভাষী মানুষও থাকেন। বছরের মৌসুমগুলোর প্রকৃতি দুই দেশে অভিন্ন। এসব সত্ত্বেও অল্পেই আমরা এ ওর ব্যাপারে উত্তেজিত হয়ে পড়ি, কখনও কখনও এ ওকে সন্দেহ করি, এমনকি ভয় পাই।’
তিনি বলেন, ‘আমি ভারতের নাগরিক, বয়স ছিয়াত্তর চলছে। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের একাধিক বার্তা সংস্থা ও সংবাদমাধ্যম যে ধরনের অর্ধসত্য ও মিথ্যে খবর দিয়ে চলেছেন, তাতে ভয় হয় যে বাংলাদেশের মানুষজন আমাদের ভুল বুঝছেন ও ভুল বুঝবেন। তেমনি বাংলাদেশ সম্পর্কেও আমার দেশের অনেকের কিছু ভুল ধারণা আছে। এই সমস্যাগুলো দূর করতে গেলে প্রথমত দরকার দুই দেশের মানুষদের মধ্যে মুক্ত সংলাপ এবং সম্প্রীতি। সেই লক্ষ্যেই আমরা তৈরি করে নিয়েছি ‘শান্তিসেতু’। এখানে দুই দেশের মানুষ খোলা মনে যে যার বক্তব্য রাখতে পারবেন।’
‘শান্তিসেতুর একটা বড় কাজ হচ্ছে মিথ্যে খবরগুলোকে চিহ্নিত করা এবং আসল কথাগুলো সকলের সামনে তুলে ধরা’ উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘এ ছাড়াও দুই দেশের জনগণের মধ্যে আত্মিক লেনদেনের, ভাবনা ও ভাব বিনিময়ের আরও অনেক দিক ক্রমশ খুলে যেতে বাধ্য। এগুলো আমরা ক্রমশ দেখতে পাব।’