বাংলা গানের শ্রোতামহলে ‘পপাই’ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। যদিও এ শিল্পীর নাম রাফফান ইমাম। কিন্তু ‘পপাই’ নামেই তিনি বেশি পরিচিত।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেছেন, “একজন শিল্পীর জনপ্রিয় হওয়া পর্যন্ত যে অর্থ লাগে, তা আমার ছিল না। যারা বিত্তশালী পরিবার থেকে এসেছেন, তাদের সেই লাক্সারিটা আছে। আমি সংগীতকে কখনো পেশা হিসেবে নিইনি; আগে পড়াশোনার পাশাপাশি গান করতাম, এখন চাকরির পাশাপাশি গান করি।”
পপাই এখন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। এখন অবস্থান করছেন দেশে।
পপাই বলেন, “এই সময়ে শিল্পীদের মধ্যে অনেকেই মিউজিক ভিডিওতে নিজেকে দেখাতে মরিয়া থাকেন। কিন্তু মিউজিক ভিডিও, ফেসবুক লাইভ কিংবা টেলিভিশনে— সে অর্থে আমাকে দেখা যায়নি। খুব দরকার না হলে আমি ‘ইন্টারঅ্যাক্ট’ করি না, আমি একটু ‘অ্যান্টিসোশ্যাল’ বলতে পারেন। যখন দরকার, তখন আমি ইন্টারঅ্যাক্ট করি। আর আমি মনে করি, আমার গানে লিরিক বড় অবদান রাখে। শ্রোতারা লিরিক পছন্দ করেন, ফলে লিরিক্যাল ভিডিও প্রকাশ করি। শ্রোতার সঙ্গে যোগাযোগ তৈরিতে লিরিক্যাল ভিডিও কার্যকর পন্থা। অনেকেই বলেন, ‘আপনাকে কোথাও দেখা যায় না, চিনি না।’ ফলে গত দুই-তিনটা ভিডিওতে নিজেই এসেছি। মানুষের সঙ্গে লাইভ করার চেয়ে মিউজিকেই আমার মনোযোগ থাকা উচিত। বাকিগুলোয় মনোযোগ দিলে আমার যতটুকু সময় আছে, তাতে অর্থবহ কিছু করা যাবে না। গানের চেয়ে মার্কেটিং, লাইভে বেশি সময় দিতে চাইনি।”
নিজের প্রবাসজীবন সম্পর্কে পপাই বলেন, “আন্ডারগ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করার পর মাস্টার্স করার জন্য আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাই। আমার মা ও বোন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। ছোটবেলায় আব্বা মারা গেছেন। ঢাকায় আমি একাই ছিলাম। মা বললেন, ‘চলে এসো।’ যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাশল্যান্ড ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ শেষ করে এখন একটি চাকরি করছি।“
তিনি আরও বলেন, “দেশের বাইরে পিংক ফ্লয়েড, দেশের জেমস, আইয়ুব বাচ্চু, অর্ণব। এ ছাড়া এখন নতুন অনেক শিল্পী আসছেন; তারা বাংলা ভাষায় যে এভাবে গান করা সম্ভব, তা দেখিয়ে দিচ্ছেন।”