শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন। শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক ডিপজল।
নির্বাচিত হওয়ার পর রোববার ( ২১ এপ্রিল) বিকালে সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তারা। এর মধ্যে ছিল সরকারি অনুদানের সিনেমা প্রসঙ্গও। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মনোয়ার হোসেন ডিপজন বলেন,
‘অনুদানের ছবিতে টাকা দিচ্ছে ৪০ লাখ। ছবিতে খরচ হয় ৭০–৮০ লাখ থেকে ১ কোটি। ১ কোটিতেও এখন ভালো ছবি হয় না। দেড়-দুই কোটি লাগে। যে অনুদান আনে, সে ২০ পারসেন্ট খাইয়া ফেলল। ২০ পারসেন্ট খাইয়া ফেললে থাকে ২০ লাখ। ওইটায় হয় একটা নাটক, নট অনুদানের কোনো একটা ভালো ছবি।
আমি মনে করি, অনুদান বন্ধ কইরা দিলে ভালো হয়। গভর্নমেন্টের টাকাটা নষ্ট হচ্ছে। ভালো কাজে লাগছে না। হয়তো দু-একা ভালো হচ্ছে। বাকি সবই জিরো পজিশন। অনুদানের কোনো ছবি চলছে, একটা নাম বলেন?’ এ সময় নতুন সাধারণ সম্পাদক ডিপজল সিনেমা হলের ওপর থেকে ট্যাক্স কমানোরও দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘একটা টিকিট কাটতে গেলে ৫০০ টাকা লাগে। একটা রিকশাওয়ালা কি ৫০০ টাকা দিয়া ছবি দেখতে পারবে?’ এসময় ডিপজন আরও বলেন, আমি প্রতিটি জেলায় একটি করে সিনেমা হল বানাবো, যেখানে বালিজ্যিক সিনেমা চলবে।’
এদিকে বাণিজ্যিক ছবি নির্মাণ কঠিন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে মিশা সওদাগর বলেন, ‘খেটে খাওয়া মানুষ দিনের শেষে তালি মারবে, হুররে বলবে, শিস বাজাবে...এ ধরনের ছবি হয় না। আঁতেল মার্কা ছবি তো ইচ্ছা করলেই বানানো যায়। কিন্তু হুররে, শিশ মারা সিনেমা বানানো বহুত কঠিন।’
এসময় মিশা সরকারি অনুদানের সিনেমার ৭৫ শতাংশ বাণিজ্যিক সিনেমাকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
তিনি িবলেন, আমাদের প্রস্তাব থাকবে ৭৫ শতাংশ অনুদান বাণিজ্যিক সিনেমাকে দিতে হবে। এখান থেকে একটা অংশ টাকা যেন ফেরত যায়, সে নিশ্চয়তা যেন দেওয়া হয়। সরকার যদি এক কোটি টাকা দেয়, আমরা ২৫ বা ৩০ ভাগ ফেরত দেব।’