হত্যা মামলার আসামি হলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ইরেশ যাকের। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে গুলিতে বিএনপি কর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবণ (২১) হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনকে আসামি করে ঢাকার নিম্ন আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী-এমপি, ঢাকা সিটির সাবেক দুই মেয়র, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, নির্বাচন কমিশনার ও আইনজীবীসহ ৪০৮ জনের নামোল্লেখ করা হয়। এ মামলায় অভিনেতা ইরেশ যাকের ১৫৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
রোববার (২৭ এপ্রিল) আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তির ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী গত ২০ এপ্রিল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন। ওইদিন আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আমার ছোট ভাই মাহফুজ আলম শ্রাবণ বিএনপির দলীয় কর্মী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময় সে আন্দোলনে অংশ নিতো। ঘটনার দিন গত ৫ আগস্ট দুপুরে শেখ হাসিনা সরকারের চূড়ান্ত পতনের লক্ষ্যে বেলা আড়াইটার সময় ছাত্র-জনতার মিছিল মিরপুর মডেল থানাধীন মিরপুর শপিং কমপ্লেক্স ও মিরপুর মডেল থানার মধ্যবর্তী রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে যাওয়ার সময় আসামিদের নির্দেশে মিছিলকারী ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। তারা সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, রাইফেল, শর্টগান, পিস্তলের গুলি ব্যবহার করে এবং ককটেল ও হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
বাদীর ভাষ্য, সংঘবদ্ধ আসামিদের গুলিবর্ষণের ফলে আমার ভাই মাহফুজ আলম শ্রাবণের বুকের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হয়, যা ডান পাশের কোমর ছিদ্র হয়ে বের হয়ে যায়। গুলির আঘাতে আমার ছোট ভাই তাৎক্ষণিক রক্তাক্ত অবস্থায় মিরপুর মডেল থানার প্রধান গেটের সামনে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। আমার ভাইসহ অনেকেই ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়। সেখানে উপস্থিত ছাত্র-জনতা আমার ভাইকে চিকিৎসার জন্য রিকশাযোগে মিরপুরের একটি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।