ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার পর ভক্তদের সঙ্গে নিজের দীর্ঘদিনের কিছু গোপন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফাঁস করলেন তিনি।
প্রথমেই ইলিয়াস কাঞ্চন ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, “ব্যস্ততার কারণে অনেক দিন ধরে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছি না, ভালো লাগছিল না। আগামীকাল (শুক্রবার) যেহেতু ছুটির দিন, তাই বৃহস্পতিবার দেরি করে ঘুমালেও ক্ষতি নেই। ফেসবুক লাইভে চলে আসলাম।”
এরপরই নায়ক বলেন, “আমি আমার জীবনের কিছু মজার ঘটনা ও দুর্বলতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, যার মধ্যে অন্যতম একটি আমার আঙুল। ছোটবেলায় আমার আঙুল দুটো পুড়ে গিয়েছিল। কিন্তু শুধু পুড়ে যাওয়ার কারণে আমার আঙুল দুটোর এতো ক্ষতি হয়নি। এর পেছনে রয়েছে আরেকটি কারণ।”
কাঞ্চন বলেন, “আমার বাবারা সাত ভাই ছিলেন। আমার বাবা ছিলেন চার নম্বর। আমি তখন হামাগড়ি দিয়ে চলি। তখন বাবার ৫ নম্বর ভাই বিয়ে করেন। আমার মা-বাবাদের কাছে শুনি, সে সময় গরম চুলায় আমি হাত দিয়ে দুটি আঙুল পুড়িয়ে ফেলেছিলাম। তখন ঘরে এসেছে বাবার ভাইয়ের নতুন বউ। তিনি বড় ঘোমটা পরে বাড়িতে হাঁটতেন। একদিন আমি পোড়া আঙুল দিয়ে হামাগুড়ি দিচ্ছিলাম আর উনিও বড় ঘোমটা দিয়ে হাঁটছিলেন। ওই সময় তার পা আমার পোড়া আঙুলের মধ্যে পড়ল। এতে আমার আঙুল দুটো আরও থেঁতলে গেল। বড়রা বলেছিল, ওই সময় চাচির পায়ের চাপা খাওয়ায় আমার পোড়া নরম আঙুল পায়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ লেগেছিল। এরপর থেকেই এ খুঁত সঙ্গে নিয়েই আমি বড় হয়েছি।”
অভিনেতা হিসেবে সিনেমার ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, “অল্পবয়সে যখন নায়ক ছিলাম, তখন অনেক সতর্ক হয়ে কাজ করেছি। যেন পর্দায় আমার এ দুর্বলতা কখনো দেখা না যায়। তবে এখন আমি সে গোপন কথাটা বলছি। কারণ, এখন তো আর আমি নায়ক নই।”
এরপর একটু হেসেই ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, “শুনেছি বলিউডের জনপ্রিয় হৃতিক রোশনেরও আঙুলের সমস্যা রয়েছে। তার এক হাতে ৫ আঙুলের জায়গায় ৬ আঙুল। তিনিও পর্দায় এ সমস্যা ভক্তদের কাছে আড়াল করেন সতর্কভাবেই। কারণ, ভক্তরা নায়কদের পারফেক্ট দেখতেই অভ্যস্ত। নায়কের দুর্বলতা তাদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে এত দিন পরে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের এ দুর্বলতা আমি শেয়ার করলাম। এখন না বললে হয়তো কখনোই আর এ মজার ঘটনা কিংবা নিজের দুর্বলতা বলা হবে না।”