নন্দিত অভিনেত্রী নুশরাত ইমরোজ তিশার জন্মদিন মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি)। দিনটি উপলক্ষে শুভেচ্ছায় ভাসছে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। তিশার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জনপ্রিয় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। তিশার জন্মদিনে উইস করে ফেসবুকে এক বিরাট শুভেচ্ছা বার্তা তুলে ধরেছেন। সেখানে ইলহাম এর মা সম্মোধন করে নন্দিত নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী লিখেছেন-
ইলহাম এর মা, জানি তুমি একটা কঠিন সময় পার করছ। সব ঠিক হয়ে যাবে। প্রার্থনা করি আমাদের বাচ্চাটার জন্যে। প্রার্থনা ফারুকী ভাইর জন্যে,আন্টির জন্যে। আজকের দিন তোমার জন্যে স্পেশাল।কারণ,আজ তোমার জন্মদিন ।
নুশরাত ইমরোজ তিশা অনেক বড় একজন অভিনয়শিল্পী। তাকে চিনি সেই নতুন কুঁড়ির সময় থেকে। তখন থেকেই আন্টি (তিশার মা) আমাকে অনেক আদর করতেন। তিশা একজন সত্যিকারের অভিনয় শিল্পী। শতভাগ। কেন জানেন? এই শিল্পী হচ্ছে পরিচালকের শিল্পী। সে দারুণ অভিনয় করে এটা কে না জানে। কিন্ত ও সেই মানুষ, সেই শিল্পী,যে ফোন করলে ফোন ধরে,কল ব্যাক করে খুব তাড়াতাড়ি,যার সাথে কথা বলতে পরিচালককে চিন্তা ভাবনা করতে হয়না,যাকে পছন্দমত স্যুটিং টাইম কল দেয়া যায়, যে নিজ দায়িত্বে উইথ মেকাপ ১০ টায় সেটে উপস্থিত থাকে, যে তার কাজ হোমওয়ার্ক করে সেটে আসে।
যাকে কল দেবার সময় কখনই শুনতে হয়নি " আমি তো ১১ টার আগে সেটে আসি না"..এই সবকিছু পরিচালক ছাড়াও পুরো টীমের জন্য অনেক আরামের। তার সাথে আমার প্রথম কাজ ২০০৬ সালে বিটিভির ঈদের কাজ মোহন খান এর লেখা ‘শেষপ্রান্ত’ দিয়ে। তারপর আর টিভির ভ্যালেন্টাই, বিজয় দিবস, রবীন্দ্রনাথ, নারী দিবস, ঈদের কাজ সহ বেশ ভালো কিছু কাজ আমরা করেছি। পরপর তিন নারী দিবসের কাজও করেছি।
তিশা মানবিক দিক থেকেও অনেক ভালো। ব্যাবহার, আদব কায়দা, মানুষ কে সম্মান দেয়া, বড়দের দেখলে চেয়ার ছেড়ে দেয়া, পরিবারের খেয়াল দেয়া সব কিছুতেই তিশা অলরাউন্ডার।
খুব কাজ পাগল এই মেয়েটি সারাক্ষন আনন্দ নিয়ে কাজ করে। সান চলে যাবে মনে হলে নিজ দায়িত্বেই সিকোয়েন্স করে লাঞ্চে বসে।আর কাজের ফাঁকেও কাউকে বিরক্ত না করে নিজ দায়িত্বে নামাজটাও পরে নেয় সে।
আমার ‘প্রহেলিকা’ এর একটা শো হয়েছিল রিলিজের ৪ সপ্তাহ পর।বাচ্চা নিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ভাইকে নিয়ে সে গিয়েছিল আমাদের অনুপ্রাণিত করতে। আজ এই মেয়েটির জন্মদিন। শুভ জন্মদিন তিশা,মায়াবতী। আন্টিকে অভিনন্দন। আজকের দিনে তোমাকে জন্ম দিয়েছেন তাই।
তুমি অনেক সুস্থ,সুন্দর থেকো,ভালো থেকো পরিবার নিয়ে। প্রার্থনা করি, আমি জানি তুমি একজন ভালো মা হবে। তুমি যেন নাতির ঘরে পুতি দেখতে পাও। এই প্রার্থনা। এমন করেই পাশে থেকো।