সংগীতকে পেশা হিসেবে নেওয়ার ৪৫ বছর পূর্ণ হয়েছে ‘মেলায় যাইরে’ খ্যাত তারকা মাকসুদুল হকের। শনিবার ‘মাকসুদ-৪৫ ইয়ারস ইন মিউজিক কনসার্ট’ শিরোনামে এক কনসার্টের আয়োজক ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ। ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সন্ধ্যায় এ কনসার্ট শুরু হচ্ছে। এ বিশেষ উপলক্ষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন এ তারকা। নিজের সংগীত জীবনের পাওয়া সম্পর্কে মাকসুদ বলেছেন, আমি অন্য দশজনের মতো গা ভাসিয়ে দিইনি। হয়তো আরেকটু বেশি পেতে পারতাম তাহলে।
তাকে প্রশ্ন করা হয় আবার শুরু করা গেলে কী করতেন। উত্তরে তিনি বলেন, মনে হয়, আরেকবার যদি জন্ম হয়, তবে ৪৫ বছরের এই জীবনই চাইব। এই জীবনই ভালো লাগে। ভীষণ ভালো লাগে।
মাকসুদ বলেন, “কারণ, এই জীবনে স্ট্রাগল ছিল। ভালোবাসা ছিল। প্রেম ছিল। দ্রোহ ছিল। আরও কত কিছুই ছিল। চোখের সামনে দেশের কত কিছুর পরিবর্তন দেখলাম। জীবনে কত কিছু এলো-গেল। সব মিলিয়ে কারও কাছে কোনো অভিযোগের কারণ নেই। জীবনটা যেভাবে গেছে, সেভাবে এলে আমার কোনো আপত্তি নেই।”
এই সংগীতশিল্পী বলেন, “একদম আমি এই জীবনই দেখতে চেয়েছিলাম। হয়তো আরেকটু বেশি পেতে পারতাম। কিন্তু সেটা হয়তো আমার নিজের কারণেই হয়নি। এটাও ঠিক, আমি অন্য দশজনের মতো গা ভাসিয়ে দিইনি। হয়তো কিছু নিয়মনীতি মেনে চলেছি, তা–ও হতে পারিনি। জীবনে অনেক কিছু হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, না হওয়ারও অনেক কারণ থাকতে পারে। যতটুকু হয়েছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমার নিজের লেখা ও সুর করা গান ৫০টির বেশি হবে। মিশ্র অ্যালবামে আরও ২০—২৫টি গান আছে। কনসার্টে ঘুরেফিরে ১০টির বেশি গান করা সম্ভব হয় না। কখনো আটটি। নিজের বেশি ভালো লাগার আরও অনেক গান কনসার্টে গাইতে পারি না। এটা নিয়ে একটা দুঃখবোধ রয়ে গেছে।”