দেশের একসময়ের আলোচিত-সমালোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সানাই মাহবুব। আবু সালেহ মুসা নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে শোবিজকে বিদায় জানিয়ে ধর্ম-কর্মে মনোযোগী হলেও দাম্পত্য জীবন ভালো যাচ্ছে না, বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন এই যুগল। এরই মাঝে আবু সালেহ মুসা অভিযোগ করেন— তাকে মারধর করেছেন সানাই। এতে তার কিডনিতে সমস্যা হয়েছে। তবে অভিযোগটি গুজব বলে জানিয়েছেন সানাই।
শুক্রবার (২ জুন) এক ফেজবুক পোস্টে সানাই মাহবুব বলেন, “পেজ হ্যাক হওয়ার কারণে আমি অ্যাকসেস পাচ্ছিলাম না। আর ওইদিকে আমাকে নিয়ে উল্টা-পাল্টা নিউজ হচ্ছে। আচ্ছা, সাংবাদিক ভাইয়ারা আপনাদের কাছে তো আমার নাম্বার আছে, নিউজের আগে কি আপনারা একটাবার আমাকে ফোন করার প্রয়োজন মনে করেন নি?”
স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সানাই মাহবুব বলেন, “আমি কোন দুঃখে আমার স্বামীকে মারতে যাব? আর কিডনি ড্যামেজ করে দিছি মানে কি? আপনারা সবাই মিলে আসেন পপুলার কিংবা ল্যাবএইড গিয়ে আমার স্বামীর কিডনি পরীক্ষা করে দেখি, রিপোর্ট কি আসে। তাৎতক্ষণিকভাবে প্রমাণ হবে কিডনি ঠিক আছে কি না।”
সাংবাদিকদের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে সানাই মাহবুব বলেন, “এসব আশ্চর্যজনক নিউজ আপনারা কিসের ভিত্তিতে করেন? আপনারা আসেন না ভাই, ওকে নিয়ে পপুলার বা ল্যাবএইডে গিয়ে একটা টেস্ট করাই, তারপর না হয় রিপোর্টের ছবি দিয়ে নিউজ করলেন।”
রিপোর্ট ভুয়া বানানো যায়। তা উল্লেখ করে সানাই মাহবুব বলেন, “রিপোর্ট তো ভুয়া বানানো যায়। কারণ আমার স্বামীর পরিচিত ডাক্তার আছে ডজন ডজন। তাই তার কিডনির পরীক্ষা আপনাদের উপস্থিতিতে ফেসবুক লাইভে থেকে করা হবে। দেখি কি রিপোর্ট আসে।’
চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে সানাই মাহবুব বলেন,“আমার সৎ সাহস আছে, আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ করতেছি, চলেন ওকে নিয়ে পপুলার কিংবা ল্যাবএইডে যাই কিংবা এভার কেয়ারে কিংবা অন্য কোনো হাসপাতালে যাই। প্রমাণ চলে আসবে, আপনারা সবাই আসেন।”
এর আগে সানাই মাহবুবের স্বামী আবু সালেহ মুসা অভিযোগ করে বলেন, “আজ একটু কথা-কাটাকাটি হয়েছে। এতে সে আমাকে ঝাড়ু দিয়ে মারছে। দুই-তিনটা লাথি মারছে, লাথি মেরে আমার কিডনির সমস্যা করে দিয়েছে। এর আগেও, পা ও লাথি দিয়ে মারছে। তবু কিছু বলিনি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলামেলা ছবি পোস্ট করার কারণে একসময় ব্যাপক সমালোচিত ছিলেন সানাই। মডেলিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। বেশ কয়েকটি গানের মিউজিক ভিডিওতে দেখা গেছে তাকে। সর্বশেষ ‘ময়নার ইতিকথা’ ও ‘শালবনের মহুয়া’ নামক দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তবে সিনেমা দুটি এখনো মুক্তি পায়নি।
অশ্লীলতার অভিযোগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে হাজিরাও দিয়েছিলেন সানাই। সে সময় মুচলেকায় সই করে ছাড়া পান তিনি।