সুড়ঙ্গ নিয়ে সবার কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। এসব প্রতিক্রিয়া ভীষণ উৎসাহের ও অনুপ্রেরণার বলে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী তমা মির্জা। সিনেমা নিয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। ঈদে মুক্তি প্রতীক্ষিত সুড়ঙ্গ সিনেমা দিয়ে তিন বছর পর প্রেক্ষাগৃহে ফিরবেন এই অভিনেত্রী। সিনেমাটিতে তমা মির্জার সঙ্গে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো।
তমা মির্জা বলেন, “সুড়ঙ্গ সিনেমাতে আমরা দুজন মাসুদ ও ময়না চরিত্রে অভিনয় করেছি। পর্দার মাসুদ ও ময়না হয়ে ওঠার যে জার্নি, এটা সারা জীবন মনে থাকবে। ছবি দেখলেই দর্শক বুঝতে পারবে, এই জার্নি কেন আলাদা। একটা কথা স্ট্রংলি বলতে চাই, সবকিছু মিলিয়ে ছবিটা আমার জীবনে বিশেষ হয়ে থাকবে।”
অভিনেতা এবং সুড়ঙ্গ সিনেমার সহশিল্পী আফরান নিশো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আসলে নিশোর সঙ্গে যেহেতু আমার আগে কখনো কাজ হয়নি, সেই জায়গা থেকে একটা চিন্তাভাবনা মনের মধ্যে দাঁড় করা ছিল, হয়তো একটু গম্ভীর হবে। কিন্তু দেখলাম, তিনি অসম্ভব ভালো ও সহযোগিতাপরায়ণ। প্রতিটা ফ্রেমে ফ্রেমে আলোচনা করেছেন। রাফী দেখিয়ে দিল, এরপরও দেখা গেল, নিশো ভাই আলাদা করে আলোচনা করছেন, ‘কী করবা তুমি? আচ্ছা ঠিক আছে, তাহলে এভাবে করছি আমরা।’ এই যে একটা সহশিল্পীর সাপোর্ট—এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটাই এই ছবির বেস্ট পার্ট। সে কারণেই ছবিটা অন্য ছবির চেয়ে আলাদা হবে।”
পরিচালক রায়হান রাফীর সঙ্গে এটা আপনার কততম কাজ এমন প্রশ্নের উত্তরে এই অভিনেত্রী বলেন, “তিন কিংবা চার। ওহ না না, পাঁচ নম্বর কাজ। এই ছবির পরিসর অনেক বড়। ধরে ধরে ফ্রেমিং করছিল যখন, তখনই বোঝা যাচ্ছিল, আমরা পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার ছবির শুটিং করছি। তবে রাফীর ক্ষেত্রে বিষয়টা এমন না যে সে ফিল্মের ডিরেকশন দেয় একরকম, আবার যখন ওটিটির দেয় সেটা আরেক রকম। কাজের ধারাবাহিকতা সব জায়গায় একই রকম, কোথাও কোনো ছাড় দেয় না। এই ছবির ক্ষেত্রে বড় ব্যাপার হচ্ছে, আফরান নিশো ভাইয়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা, এটা ভীষণ ভালো। তিনি এত ভালো একজন অভিনেতা, তাঁর জায়গায় তো তিনি স্টার, এত অভিজ্ঞ একজন অভিনেতার সঙ্গে কাজ করছি, তাঁর মধ্যে সেই গাম্ভীর্য, জড়তা কিছুই পাইনি, যদিও তাঁর সঙ্গে প্রথম কাজ।”
পরিচালক রায়হান রাফীর থেকে বকা খাওয়া প্রসঙ্গে তমা বলেন, “বকা খেয়ে কখনো কান্না করি। এই ছবিতে বকা খেয়ে অনেক মন খারাপ হয়েছে। চোখের কোণে জলও এসেছে। মুখ গোমরা করেও বসে ছিলাম। পরে যখন দৃশ্য দেখেছি, মনে হয়েছে, বকা খাওয়াটা দরকার ছিল।”