ঢালিউডের শিল্পী সমিতিতে বিবাদ লেগেছে। নির্বাচিত কমিটি থেকে অভিনেত্রী সুচরিতা ও চিত্রনায়ক রুবেলের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে রোববার (২ এপ্রিল) চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সদস্যপদ সমিতি থেকে স্থগিত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে শিল্পী সমিতি সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারকে নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জায়েদ খান শনিবার (১ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। নিপুণ আক্তারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তার সম্পর্কে কথা বলতেই আমার ইচ্ছা হয় না। আমি তার সম্পর্কে কিসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছি, কী এমন মানহানিকর বাজে কথা বলছি?”
জায়েদ খান বলেন, “একের পর এক সে অন্যায় করে যাচ্ছে। দেখেও চুপ থাকি। যে কারণে সে ৭–এর ক ধারায় আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেই ধারায় লেখা আছে, সংগঠনপরিপন্থী, সংগঠনের উদ্দেশ্যের পরিপন্থী ও রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কোনো কাজ করলে তার সদস্যপদ বাতিল হবে। আমি কেন সংগঠনপরিপন্থী, সংগঠনের উদ্দেশ্যের পরিপন্থী ও রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কথা বলতে যাব? সংগঠন আমার কাছে আবেগের নাম। দেশের প্রতি ভালোবাসা আছে। আমি সুনাগরিক। অথচ আমাকে বিপদে ফেলতে চিঠি দিয়েছে।”
অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারের উদ্দেশে মানহানিকর কথা প্রসঙ্গে জায়েদ বলেন, “সে আমার সম্পর্কে বহুত খারাপ কথা বলছে। আমাকে দালাল, নির্লজ্জ...বহুত কিছু বলছে। আমি উত্তর দিতে গিয়ে হয়তো নির্লজ্জ, বেহায়া এমন শব্দগুলোই ব্যবহার করেছি। শুধু এ জন্যই অন্যায়ভাবে আমার সদস্যপদ বাতিলের চেষ্টা করবে? এটা হাস্যকর। সে জেনে বুঝে, ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করেছে। জানত, আমি দেশের বাইরে। চিঠি নিয়ে কিছু জানতে পারব না। এই সুযোগে আমাকে হেনস্তা করার পাঁয়তারা করে। এখন সে নিজেই সাংবাদিকদের বলছে, ‘আপনারা রোববার আসেন।’ তার মানে আগে থেকে সব পরিকল্পনা করে রেখেছে। মিটিংয়ের আগেই সব ঘোষণা দেওয়ার অর্থ কি আমরা বুঝি না?”
জায়েদ আরও বলেন, “আমি এখন টোটালি এফডিসিতে যাই না। তারপরও তাদের মন ভরে না। তার কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে মগের মুল্লুক। কিন্তু এই যুগে কীভাবে মগের মুল্লুক হয়। সে কী পেয়েছে! শুধু তা–ই নয়। সিনিয়র অভিনেত্রী সুচরিতা, আমাদের অভিনেতা রুবেল ভাই নির্বাচিত। সমিতির দায়িত্ব থেকে তাদের সদস্যপদ বাতিল নৈরাজ্যের শামিল। সুচরিতা আপা ও রুবেল ভাইয়ের সদস্যপদ বাতিল প্রমাণ করে অনিয়মের চরম প্রতিযোগিতায় লেগেছে তারা।”