কান চলচ্চিত্র উৎসবকে শোবিজ মানতে রাজি নন ভারতীয় নির্মাতা কেনু বেহেল। এবারের উৎসবে ‘ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটে’ ভারতের একমাত্র ছবি ‘আগ্রা’র পরিচালক কানু আলাপচারিতায় আরও বলেছেন, বাংলাদেশের ছবির নতুন ধারা তাকে দারুণ অনুভূতি দেয়। উৎসবের নবম দিন বুধবার ছবিটি স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টায় প্রদর্শিত হবে কানের থিয়েটার ক্রোয়েজেত্তে।
কানে ছবি নিয়ে আসতে পারার অনুভূতিকে এককথায় ‘লাভলি ফিলিং’ বলে যোগ করলেন কেনু। তিনি বলেন, “যখন আপনি আপনার সিনেমা পৃথিবীর আর সব সেরা সিনেমার সঙ্গে দেখতে পাবেন, তার চেয়ে সেরা অনুভূতি আর কিছু হয় না।”
সেক্স অ্যান্ড স্পেসকে উপজীব্য করে তৈরি ছবি আগ্রার কথা জানতে চেয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আগ্রা বলতেই তো আমরা তাজমহলই বুঝি। তোমার ছবিতে কোন আগ্রাকে তুমি উপস্থাপন করেছ?
কিছুটা হেসে কেনু ছবির অন্যতম প্রোটাগনিস্ট মোহিত আগারওয়ালের কাছে প্রশ্নটি ঠেলে দেন। বেশ আনন্দ নিয়ে অভিনেতা মোহিত বলেন, “কেন আগ্রা? কেন তাজমহল না! আমি মনে করি আগ্রার সঙ্গে সাধারণ মানুষের ভালোবাসার যে যোগসূত্র রয়েছে, তা এই ছবিতে আমার ও পরিচালকের মধ্যেও রয়েছে। একই সঙ্গে আমি মনে করি আগ্রা হচ্ছে ভারতের অন্যতম ‘মেন্টাল অ্যাসাইলাম’। এটা একটা মেটাফোর।”
কানে ভারতীয় তারকাদের সিনেমা ছাপিয়ে পোশাক, রেড কার্পেট রোমাঞ্চ নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে কেনু জানান, এটাকে তিনি শোবিজ মনে করেন না। তিনি বলেন, “এটা তো প্রথমবার নয়। কান সব সময় নানাভাবে উদযাপন করে সিনেমাকে। গ্ল্যামার, নির্মাতা, অভিনেতাদের উপস্থিতি সবকিছু যদি একটা নির্দিষ্ট ছবি অথবা পুরো বলিউডকেও প্রোমোশন করে, তাহলে কেন নয়? এটা উৎসবের অংশ। আমি এটাকে শোবিজ বলতে চাই না। অনেক কিছু মিলিয়েই সিনেমার উৎসব। আমি এটাকে স্বাগত জানাই। আমি এর পক্ষে আছি।”
বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আসতেই কেনু বাংলায় বললেন, “আমি কিছুটা বাংলা পারি।” এরপর ইংরেজিতেই বললেন, “আমার যখন বয়স চার, আমি কলকাতায় ছিলাম। আমি সব সময় ঢাকায় যেতে চাই এবং বাংলাদেশের আর সব জায়গা ঘুরে দেখতে চাই।”
বাংলাদেশের সিনেমা দেখা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে কানু বলেন, “হুম, আমার দারুণ যোগাযোগ আছে বাংলাদেশের ছবির সঙ্গে। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে যোগাযোগ তো বেশ পুরোনো। তোমাদের তরুণ নির্মাতাদের নতুন করে গল্প বলার প্রয়াস আমাকে আনন্দ দেয়। আমি রেহানা মরিয়ম নূর দেখেছি। এটা দারুণ।”