গত মাসের ভালোবাসা দিবসের পরপরই রকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের কথা জানান চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। মাহি সম্প্রতি এক পোস্টে জানান, একটা আস্থার জায়গা হলেই চলবে। এরপর মিডিয়ার সহকর্মীদের আড্ডা দেওয়ার ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘আস্থার আস্তানা’। এই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে রকিব ফেসবুকে মাহির আস্থার আস্তানা ও তার চালচলন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপরই এক ভিডিও বার্তায় রকিবের পোস্ট নিয়ে কথা বলেন মাহি। ১১ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে মাহি বলেন, “রকিব ফেসবুকে কী লিখল না লিখল, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি ডোন্ট কেয়ার।”
সেই ভিডিওতে মাহি বিবাহবিচ্ছেদের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। মাহি বলেন, “রকিবের সঙ্গে আমার তো ঠিক প্রেম হয়নি, মাত্র দুই মাসের পরিচয়ে আমাদের বিয়ে হয়। ও তখন (বিয়ের আগে) বোঝেনি, আমার এত প্রবলেম, রাগ বা ইগো কেমন? বিয়ের পর দেখেছে। ওর ক্ষেত্রেও একই। ওর যা সমস্যা ছিল, সেগুলো পরে দেখেছি, আগে দেখিনি।”
সংসার করার জন্যই সিনেমা থেকে দূরে ছিলেন বলে জানান মাহি। তিনি বলেন, “আমি সিনেমা থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছিলাম। কেন চলে গিয়েছিলাম? কারণ তিনি (রকিব) পছন্দ করতেন না। আমাকে কখনো মুখ ফুটে বলেনি, তুমি সিনেমা করতে পারবে না। আমার মনে হয়েছে ওর পছন্দ না, এ জন্যই দূরে সরে গিয়েছিলাম।”
বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেও রকিব সম্পর্কে কোনো বাজে কথা বলতে চান না মাহি। তার ভাষ্য, “যেহেতু আমরা ফারিশের বাবা-মা, তাই মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাবোধ থাকবে। আমার মাথায় যদি পিস্তল ঠেকিয়েও কেউ বলে, তুমি এখনই মরে যাবে, তোমাকে শুট করব; রকিব সম্পর্কে কিছু নেগেটিভ বলো। তবু কখনোই এমনটা পারব না।”
বার্তার পর রকিব আবারও স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে নাম না নিয়ে মাহির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি। সেই পোস্টে রকিব জানান, “এক জিনের সঙ্গে তিন বছর আগে বন্দী হয়েছিলেন। তার মতো চলতে গিয়ে অধিকাংশ সময় তাকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে। এতে তার শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা অসুখ। চিকিৎসা নিতে তিনি এখন আছেন ব্যাংককে।”
২০২১ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রকিবের সঙ্গে বিয়ে হয় মাহির। বিচ্ছেদের মতো বিয়ের খবরও ফেসবুকে জানিয়েছিলেন মাহি। তাদের ঘরে ফারিশ নামে এক পুত্রসন্তান রয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মাহি।