আসছে ঈদে মুক্তি পাচ্ছে আবু তাওহীদ হিরণ পরিচালিত ‘আদম’। তবে মুক্তির আগেই অভিযোগ করা হয়েছে ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে এই ছবির মাধ্যমে।
এ অভিযোগে ১২ এপ্রিল সিনেমাটির সেন্সর সনদ বাতিল ও প্রদর্শন বন্ধের ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তথ্য সচিব বরাবর আবেদন করেন জামিল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। এরপর একই অভিযোগে ১৩ এপ্রিল জামিল হোসেন নামের এই ব্যক্তির পক্ষে আইনজীবী মো. ইসমাঈল হোসেন হাইকোর্টে রিট করেন।
এতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তথ্য সচিব, আদম চলচ্চিত্রের প্রযোজক তামীম হোসেন ও পরিচালক আবু তাওহীদ হিরণসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। তবে ১৬ এপ্রিল রিটটি না শুনে ফিরিয়ে দেন মহামান্য হাইকোর্ট।
সেদিনই আবার সনতান পার্টি নামে একটি সংগঠনের সভাপতি আশিষ কুমার দাস ‘আদম’ সিনেমাকে বিতর্কিত এবং সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক এবং মানহানিকর চলচ্চিত্র উল্লেখ করে আইনি নোটিশ দেন।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) এসব নিয়ে কথা বলেন পরিচালক আবু তাওহীদ হিরণ।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হয়রানি স্বিকার হচ্ছি। তারা যে বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছে, সেটা আমাদের সিনেমার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা। তাই আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে জানাতে চাচ্ছি যে, আমরা কোনো ধর্মকে ছোট করে চলচ্চিত্র নির্মাণ করিনি।’
এই নির্মাতা আরও বলেন, শুধুমাত্র ট্রেলারের ছোট একটি সংলাপ শুনে পুরো চলচ্চিত্রের বিচার না করে সম্পূর্ণ চলচ্চিত্রটি দেখবেন আশা করি। পুরো চলচ্চিত্রটি দেখলে সবার ভুল ভেঙে যাবে।
আশির দশকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামীণ জনপদে ঘটে যাওয়া কঠিন বাস্তবতা আর জীবনবোধের গল্পে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘আদম’। এ সিনেমায় প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিস বাংলাদেশ খ্যাত জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী ও ‘স্বপ্নজাল’ সিনেমার অভিনেতা ইয়াশ রোহান।
‘আদম থাইকা আদম সন্তান কেউ ফেরেশতা কেউ বা শয়তান’- এই ট্যাগ লাইনে সিনেমাটি নির্মাণ হয়েছে। এতে ইয়াশ ও ঐশী ছাড়াও অভিনয় করেছেন অভিনয়শিল্পী রাইসুল ইসলাম আসাদ, রঙ্গন হৃদ্য, অ্যালেন শুভ্র, শহীদুজ্জামান সেলিম, প্রাণ রায়, মনিরা মিঠু, সুমনা সোমা, আফফান মিতুল, ইকবাল হোসেন ও মিলন ভট্টাচার্য।