• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বৈচিত্র্যময় এ শহরে এসে আমি খুবই খুশি : শর্মিলা ঠাকুর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
বৈচিত্র্যময় এ শহরে এসে আমি খুবই খুশি : শর্মিলা ঠাকুর
বক্তব্য রাখছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। ছবি: ভিডিও থেকে

তীরে এসে তরী প্রায় ডুবতে বসেছিল। দিন, তারিখ সব চূড়ান্ত। বিমানের টিকিটও কেটে ফেলেছেন। কিন্তু বিমানবন্দরে এসে জানতে পারলেন, ফ্লাইট ক্যানসেল! তখন চোখ কপালে, মনে দুশ্চিন্তা। সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ঠিকই যথা সময়ে ঢাকায় পা রাখলেন বলিউডের নন্দিত অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকায় এসেছেন তিনি। উদ্দেশ্য-ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২২তম আসরে অংশ নেওয়া। উৎসবের এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারক হিসেবে আছেন তিনি। সেই সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ।

ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার শুরুটা যেমন রোমাঞ্চকর ছিল, এখানে আসার পরও এরকম আরেকটি অভিজ্ঞতা হয়েছে শর্মিলার। শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে উদ্বোধনী আসরে সে গল্প শুনিয়েছেন অভিনেত্রী।

‘অপুর সংসার’ খ্যাত শর্মিলা ঠাকুর বলেন, ‘বৈচিত্র্যময় এ শহরে এসে আমি খুবই খুশি। তবে এই আসা প্রায় বাতিল হতে বসেছিল! গতকাল (১৯ জানুয়ারি) যখন আমি দিল্লি বিমানবন্দরে গিয়েছিলাম, আমাকে বলা হলো কুয়াশার কারণে ফ্লাইট ক্যানসেল। বাইরে তখন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। পরবর্তী ফ্লাইট ছিল আজকে; যদি এই ফ্লাইট ধরতাম, তাহলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারতাম না। পরে বাংলাদেশ বিমানের সহযোগিতায় ঢাকায় আসতে পেরেছি। একটা অ্যাডভেঞ্চার দিয়ে জার্নিটা শুরু হয়েছিল।’

দ্বিতীয় অ্যাডভেঞ্চারের বর্ণনায় শর্মিলা বলেছেন, ‘আমাকে উৎসবের পরিচালক বলেছেন, হোটেল থেকে ভেন্যু হেঁটে গেলে মাত্র দুই মিনিট, আর গাড়িতে পাঁচ মিনিট। কিন্তু কোনও কারণে আমরা একটা ভুল মোড় নিয়ে ফেলি। যার কারণে আমরা প্রায় ৩৫ মিনিট দেরিতে পৌঁছলাম। এটা একরকম এডভেঞ্চারই ছিল। ঢাকার কিছু রূপও দেখা হয়ে গেলো।’

হাসিমাখা মুখে ঘটনাগুলো যখন বলছিলেন শর্মিলা, তখন তার কাছে একটি আর্জি রাখেন ঢাকা উৎসবের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল। অনুরোধটা বাংলায় কথা বলার। কিন্তু বিনয়ের সঙ্গেই সেটা ফিরিয়ে দেন অভিনেত্রী।

শর্মিলা ঠাকুরের ভাষ্য, ‘আমি বাংলায় কেন বলবো, এটা তো আন্তর্জাতিক উৎসব। আর সবাই জানে যে, আমি বাংলা বলতে জানি। ইংরেজি তো আন্তর্জাতিক ভাষা, সবাই বোঝে। প্লিজ মাফ করবেন।’

এরপর ইংরেজি-বাংলার মিশেলেই বাকি বক্তব্য সারেন শর্মিলা। প্রশংসা করেন উদ্বোধনী আয়োজনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার। সেই সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন উৎসবের স্লোগানের সঙ্গে। সবশেষে জানান, উৎসবের সমাপনী দিনে তিনি বাংলায় দীর্ঘ বক্তব্য দেবেন।

বাংলাদেশসহ ৭৪টি দেশের ২৫২টি সিনেমা নিয়ে শনিবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পর্দা উঠলো ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

এবারের স্লোগান, ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত এই উৎসব চলবে আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

 

Link copied!