• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

টিভি চ্যানেলের সঞ্চালককে নিয়ে দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘রহস্যময়’ স্ট্যাটাস


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৪, ০২:৫৯ পিএম
টিভি চ্যানেলের সঞ্চালককে নিয়ে দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘রহস্যময়’ স্ট্যাটাস
দেবাশীষ বিশ্বাস। ছবি: ফেসবুক থেকে

জনপ্রিয় সঞ্চালক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাসের জিজ্ঞাসা ‘একজন অউপস্থাপক’কিভাবে প্রতিষ্ঠিত টিভি চ্যানেলের সঞ্চালক’। সোমবার (২৭ মে) দেবাশিষ তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এম জিজ্ঞাসা ছিল। দেবাশিষ লেখেন-

একজন ‍‍`অউপস্থাপক‍‍` কি করে একটি প্রথিতযশা টিভি চ্যানেলে নিয়মিতভাবে ফালতু, বিতর্কিত, অভদ্র, অশ্লীল, অপ্রচারযোগ্য প্রশ্নাবলী সহ চতুর্থশ্রেণীর বাচনভঙ্গি সহকারে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে এবং কি করেই বা ওই মানহীন অনুষ্ঠানগুলো সেই প্রতিষ্ঠিত টিভি চ্যানেল বা চ্যানেলসমূহ প্রচার করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা পর্যন্ত বোধ করে না! আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যমূলক ভাবে অপমান করা তো তাদের হাত ধরে এখন প্রায় শিল্পের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।

দেবাশিষ কাকে উদ্দেশ্য করে কথা গুলো বলেছেন কথা শুনেই বুঝে গেছেন তার ভক্তরা।


দেবাশিষের স্ট্যাটাসে একজন কমেন্টে লিখেছেন-

উনি তহ ভিউ বানিজ্যের জন্য সব পারেন শুধু তাই না চ্যানেল মালিকদের টাকা ইনকাম এর হাতিয়ার। তাই সবাই চুপ ‘তুই যা মন চায় তাই কর’ টি আর পি বাড়ানো টাই মুখ্য বিষয়।

আরেকজন লিখেছেন- ভুল বলেছেন দাদা। তিনি কোনো উপস্থাপক নয়। উপস্থাপনা এত সহজ জিনিস নয়। তার উদেশ্য ভাইরাল হওয়া।আর যেই চ্যানেলের কথা বলছেন। তারা ক্যাবল মাত্র যাতে উটছে।শুরুতেই তারা থাট ক্লাস ছিল।

আরেকজন বলেছেন- সবাই এখন ভাইরাল হতে চায় এটাই সমস্যা।
অন্যজন বলেছেন, যেনে শুনে এসব অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অথিথীদের না যাওয়াটাই শ্রেয়।

আরেকজন লিখেছেন- ভাইরালেই ব্যাবসা, ব্যাবসাই ভাইরাল। লজ্জাজনক অবস্থা! তবুও সবাই চুপ!
আরও অনেকে কমেন্টে লিখেছেন-
উপস্থাপক হওয়ার জন্য এখন উপস্থাপনা করার যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হয় না । এটাই ট্রেন্ড । আপনি যদি নায়ক/ নায়িকা /অভিনেতা / অভিনেত্রী/ মডেল/ সংগীতশিল্পী / টিভির বড় কর্তা/ মালিক পক্ষের আত্মীয় বা মদদপুষ্ট হন -তাহলে উপস্থাপনা করতে করতেই বড় উপস্থাপক হয়ে যাবেন ।

আরেকজন লিখেছেন-
মান বাদ গেছে দাদা,
মানি এড হইছে।
বিনোদন পাইছিল প্রশ্রয়,
মানুষের ভাল থাকার জন্য,
এখন হইছে ভোগ, আর বিকৃতি কামনার জন্য।


টাকা আর ভিউ কামানোর নেশা একটা মানসিক রোগ...এটা একটা ভাইরাস।

একজন অভিনেত্রী লিখেছেন- গুরুজনেরা কেনো এগুলোকে প্রশ্রয় দিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেয়? আমি তো ছোটো মানুষ তাও তো যাই না।

আরেক জন লিখেছেন- দাদা অনেক ধন্যবাদ এভাবে প্রতিবাদ করার জন্য। তবে একটা মানুষ এতদূর পর্যন্ত সাহস পায় অনেক মানুষের বাহবার কারনেই। এইসব অসভ্য প্রোগ্রামের এত প্রচার এটাই প্রমাণ করে যে আমরাও এই সব বিকৃত প্রশ্ন শুনতে বা কাউকে অপমানিত অপদস্থ হতে দেখতে কতটা পছন্দ করি।

টেলিভিশন উপস্থাপনার মার্জিত অবস্থানকে একেবারে পুরো ফুটপাতে নিয়ে গেছে। ঐ সঞ্চালক যতটা দায়ী, তার থেকে বেশী দায়ী ঐ চ্যানেলগুলো।

আমরা আশাকরি চ্যানেল আই কতৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখবেন এবং এইধরনের মানহীন প্রোগ্রাম প্রচার বন্ধ করবেন।
 

Link copied!