নজিরবিহীন ধর্মঘটের মুখে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্বখ্যাত সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি হলিউড। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতিতে যান ইন্ডাস্ট্রির ১ লাখ ৬০ হাজার অভিনয়শিল্পী। অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকাররা বলছেন, হলিউডের বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে রয়েছে। কিন্তু স্টুডিওগুলোর নির্বাহী কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের দাবি যৌক্তিক নয়, ফলে সব মিলিয়ে টিনসেলটাউনে এক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, হলিউডের প্রধান স্টুডিওগুলোর সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির চলচ্চিত্র ও টিভি চিত্রনাট্যকার এবং অভিনেতাদের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধর্মঘটের মুখে পড়ে অচল হয়ে গেছে হলিউড। গত ৬৩ বছরের মধ্যে এই প্রথম হলিউডের অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকাররা একযোগে ধর্মঘট পালন করছেন, ফলে এই মুহূর্তে প্রচুর প্রোডাকশনের কাজ বন্ধ রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, পারিশ্রমিক বাড়ানোসহ বেশ কিছু দাবিতে ধর্মঘট করে আসছিলেন হলিউডের লেখকেরা। তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে নিজেদের কিছু দাবি নিয়ে নেটফ্লিক্স, ডিজনিসহ হলিউডের শীর্ষ স্টুডিওগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল সেগ। লভ্যাংশ ও আরও ভালো কর্মপরিবেশের দাবি জানিয়ে স্ট্রিমিং জায়ান্টগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে সেগ। এদিকে ধর্মঘট চলাকালীন অভিনয়শিল্পীদের তাদের অভিনীত কোনো সিনেমায় দেখানো যাবে না বলে জানিয়েছে সেগ। এমনকি তারা যেসব কাজ এরই মধ্যে শেষ করেছেন, সেগুলোর প্রচারেও কেউ অংশ নেবেন না।
আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না হলেও অভিনয়শিল্পীদের ধর্মঘটের ঘোষণা এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার। লেখকদের সঙ্গে শিল্পীরা ধর্মঘটে নামলে ৬৩ বছর পর লেখক ও শিল্পীদের ধর্মঘটের মুখে পড়বে হলিউড। এটা হলে রিয়েলিটি শো, অ্যানিমেশন ও টক শো হয়তো চলতে পারবে কিন্তু এমি অ্যাওয়ার্ডসের মতো বড় অনুষ্ঠান ঝুঁকিতে পড়বে। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা জনপ্রিয় সিজির সিকুয়েল বা বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা মুক্তিও বাতিল হতে পারে।