হিন্দুদের ঘর পুড়ছে, ‘এই দায় বংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বকে নিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক না হয়েও, বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা যখন গুলি খেয়েছে, মার খেয়েছে তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছি। কিন্তু দুদিন ধরে দেখছি বাংলাদেশে হিন্দুদের ঘর পুড়ছে, মহিলাদের নিগ্রহ করা হচ্ছে, এমনকি দুই বাংলার অত্যন্ত প্রিয় গুনী শিল্পী রাহুলের বাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে। এই দায় বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বকে নিতে হবে। নিতে হবে সকল বাংলাদেশীদের।’
সহিংস এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে স্বস্তিকা লেখেন, ‘মূর্তি ভাঙা, মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘরে আগুন দেওয়া, এই কি ছিল কোটা আন্দোলনের উদ্দেশ্য? মুক্তিযুদ্ধ তো জেনেছিলাম, সকল বাংলাভাষী মানুষের প্রাণের মূল্য, কীভাবে আপনারা একজন স্বৈরশাসককে হটাতে গিয়ে, এই মুক্তিযুদ্ধকে আঘাত করলেন? আপনারা সকল ধরনের সাম্য ও মৈত্রীর কথা বলেছিলেন, তার প্রথম শর্ত একটি দেশের সংখ্যালঘুদের প্রাণ, মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠা। সেটা ব্যর্থ হলো।’
স্বস্তিকা আরও লেখেন, ‘পালাবদলের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছেন আপনারা, সবার আগে বাংলাদেশের হিন্দুদের প্রাণ বুক দিয়ে রক্ষা করুন। যদি বলেন, এসব আপনাদের মদতে হয়নি, বাংলাদেশের মুসলিম মৌলবাদী, সুযোগ সন্ধানীরা করেছেন, তবে একটি কথাই বলব, আপনাদের স্বপ্ন ছিনতাই হতে দেবেন না, তরুণদের ত্যাগকে ব্যবহার করে, কোনও শক্তি যেন গণহত্যা না চালায়, সেই দায় দায়িত্বও আপনাদের। বাংলাদেশে শান্তি, গনতন্ত্র, সংখ্যালঘুদের অধিকার ফিরুক যত শীঘ্র সম্ভব’ ।
অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পাশে ছিলেন। মেয়ের সঙ্গে মার্কিন মুলুকে থাকা সত্ত্বেও, ক্রমাগত বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির খোঁজ রাখছিলেন।