বাংলাদেশে সনাতন সম্প্রদায় কিংবা সংখ্যালঘুদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ক্যানসারে আক্রান্ত বলিউড অভিনেত্রী হিনা খানের। স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত জম্মু-কাশ্মীরের এই লাস্যময়ী এরমধ্যে চিকিৎসা শুরু করেছেন। চলছে কেমো থেরাপি। সেসবের নিয়মিত আপডেটও দিচ্ছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। তবে এসব ছাপিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ক্যানসারে আক্রান্ত হিনা।
সোমবার (১১ আগস্ট) হিনা বাংলাদেশ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। সেখানে লিখেন, ‘যে কোনও নিরীহ মানুষের মৃত্যুই আসলে মানবতার মৃত্যু। যে কোনও ধর্ম, জাতি ও দেশের জন্যই এটা প্রযোজ্য। কোনও সম্প্রদায়কেই যেন এই সাংঘাতিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে না হয়। যেটা ভুল, সেটাকে ভুলই বলব।’
হিনা মনে করেন, যে কোনও দেশেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া একটি মৌলিক বিষয়। তিনি আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বে যে সমস্ত মানুষ অশান্তির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের প্রত্যেকের জন্যই আমি সমব্যথী। আমি মানবতাকেই সবার আগে রাখি। প্রার্থনা করুন, বাংলাদেশে হিন্দু-সহ অন্য সংখ্যালঘুরা যাতে নিরাপদে থাকেন। মানবিকতা বজায় রাখুন।’
এদিকে হিনার আগেই বলিউড নায়িকা ও সাংসদ কঙ্গনা রনৌত আওয়াজ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উত্থান আসলে হিন্দুদের ওপর সহিংসতা বৃদ্ধির পরিণাম।’ তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে যা ঘটছে তা আসলে সব ইসলামি প্রজাতন্ত্রেরই বৈশিষ্ট্য, যেখানে সব সময় অন্য ধর্মকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়!
কঙ্গনার ভাষায়, ‘মুসলিম দেশে কেউই নিরাপদ নন, এমনকি মুসলমানরাও নয়। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ব্রিটেনে যা ঘটছে তা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা ভাগ্যবান যে রামরাজ্যে বাস করছি।’
কঙ্গনা রনৌতকঙ্গনা রনৌত
শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে কঙ্গনা বলেন, ‘ভারত আমাদের চারপাশের সমস্ত ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের আদি মাতৃভূমি। আমরা সম্মানিত এবং খুশি যে, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভারতে নিরাপদ বোধ করেন। কিন্তু যারা ভারতে থাকেন এবং জিজ্ঞাসা করেন কেন হিন্দু রাষ্ট্র? কেন রামরাজ্য? তাদের বলি, এখানেই এর কারণ স্পষ্ট!’
বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতাও। তিনি বাংলাদেশের শান্তি কামনা করে এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেছেন।
ওই পোস্টে প্রীতি লিখেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু মানুষের সঙ্গে যে হিংসার ঘটনা ঘটছে, তা দেখে আমি বিধ্বস্ত ও ভেঙে পড়েছি। মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষ ঘর-বাড়ি হারাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের প্রার্থনাস্থলে ভাঙচুর করা হচ্ছে।
তিনি আহ্বান জানান, নতুন অন্তর্বর্তী সরকার এই ধরনের হিংসা বন্ধ করতে যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আমি বাংলাদেশের নির্যাতিতদের জন্য প্রার্থনা করছি।’
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও হিন্দুস্তান টাইমস