চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার । চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েছেন, এমন অভিযোগ আগেই উঠেছিল। শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ২০২২ সালে কম জল ঘোলা হয়নি। সেবার নির্বাচনে সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রাথমিক ভোট গণনায় জায়েদ খান জয়ী হন। কিন্তু এই ফলাফল মেনে নেননি সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত প্রার্থী নিপুণ আক্তার। পরবর্তীকালে আদালতের নির্দেশে শিল্পী সমিতির মসনদে বসেন তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোরনে শেখ হাসিনার পতনের পর অনেক তারকাই আত্মগোপনে কিংবা লুকিয়ে আছেন। তাদের মতো নিপুণও আত্মগোপনে। ধারণা করা হচ্ছে জুলাইয়ের শেষ দিকেই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান বিতর্কিত এ নায়িকা। সেখানেও নাকি বাঙালি কমিউনিটির ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না তিনি।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রচারণামূলক কাজে নিয়মিত পাওয়া যেত নিপুণকে। শুধু তাই নয়, শেখ সেলিম ও আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে নিজের প্রভাব বিস্তার করেন তিনি। এমনকি সেই জোরেই শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার দখল করেন। কাউকে তোয়াক্কা না করে তার একক সিদ্ধান্তেই চলত সমিতি।
নিপুণের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, নিপুণের সহসা দেশে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই এখন। কারণ দেশে ফিরলে তোপের মুখে পড়তে পারেন তিনি। তিনি এও জানান, নিপুণ এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তার মেয়ের সঙ্গে। তবে সেখানেও লুকিয়ে আছেন অভিনেত্রী, ঘর থেকে খুব একটা বের হচ্ছেন না। সেখানকার বাঙালি কমিউনিটির ক্ষোভের মুখেও রয়েছেন তিনি।
১৯৯৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের পর নিপুণ রাশিয়া চলে যান। মস্কোতে ২০০৪ পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। এরপর পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে থাকা অবস্থাতেই বিয়ে করেন নিপুণ। যদিও সেই বিয়ে টেকেনি বেশিদিন। তবে সেই ঘরে তানিশা হোসেন নামে এক কন্যাসন্তান রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২১ বছর বয়সী মেয়ে তানিশার সঙ্গেই এখন থাকছেন নিপুণ।