কিংবদিন্ত অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের ৮২তম জন্মদিন ২৩ জানুয়ারি। ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বেঁচে থাকলে আজ ৮৩তম জন্মদিন পালন করতেন তিনি। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট নায়করাজ রাজ্জাক ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
জীবদ্দশায় জন্মদিনটিতে তাকে নিয়ে মেতে থাকত পরিবার। এ দিন তার পছন্দনের বাহারি পদের রান্না হত বাসায়। প্রয়াত এই কিংবদন্তি জন্মদিনে কি ধরণের পদ পছন্দ করতেন সে কথা বলেছেন তার ছোট ছেলে নায়ক সম্রাট।
সম্রাট বলেন, ‘ষোলআনাই বাঙালি ছিলেন বাবা। বাঙালি খাবার সবসময় পছন্দ করতেন। ছোট মাছ প্রিয় ছিল। বেছে বেছে ছোট মাছ কেনা হতো। ঝোল করে টেংরা মাছের তরকারি ছিল ভীষণ প্রিয়। জন্মদিনের বিশেষ দিনে মা টেংরা মাছ ঝোল করে রান্না করতেন। সাদা ভাতের সঙ্গে টেংরা মাছের তরকারি দিয়ে বাবা তৃপ্তি করে খেতেন।’
সম্রাট আর বলেন, “সবজি খিচুড়ি ছিল বাবার অসম্ভব পছন্দের। খুব তৃপ্তি পেতেন। পোলাও খেতেন না। সবসময় সাদা ভাত খেতেন। বাবার এই অভ্যাস আমার এক সন্তান পেয়েছে। এখন বাবা নেই, কিন্তু তার অভ্যাসটি আমার সন্তান ধরে রেখেছে।
জন্মদিনে বাবা আমাদের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে খেতেন। কখনো বাইরে যেতেন আমাদের নিয়ে। সবাই আনন্দ করে খেতাম বাবার সঙ্গে। এখন সেসব দিনের কথা খুব মনে পড়ে। ২৩ জানুয়ারি এলে বারবার ফিরে যাই সেসসব দিনগুলোতে।”
সম্রাট বলেন “বাবার আরেকটি প্রিয় খাবারের কথা আজ বলি। আমের প্রতি ছিল বাবার অসম্ভব দুর্বলতা। মিষ্টি আম নিয়ে আসতেন বাজার ঘুরে। রমজানে সেহরি খাওয়ার সময় আম ছাড়া হতোই না। নানারকম আম নিয়ে এসে সবার সঙ্গে খেতেন।
বাবার জন্মদিনে মিষ্টি জাতীয় খাবার রান্না হতো। বাবা খেতেন না। আমরা খেতাম। জন্মদিনে অনেক কাছের মানুষরা আসতেন বাসায়। বাবা খুশি হতেন। সবার ভালোবাসা পেলে বাবার মন সত্যি সুন্দর থাকত।”