সংস্কারের ডাক দিয়ে জরুরি সভা ডেকেছে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। লিয়াকত আলী লাকী যুগের অবসানের পর পুনর্গঠন ও আগামী নির্বাচন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে এই সভা ডাকা হয়েছে।
২৫ অক্টোবর দুপুর ১২টায় ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে এ সভা হবে বলে ফেডারেশনের জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য (কেন্দ্র) লাকী ইনামের সই করা এক চিঠির সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। ফেডারেশনের পুনর্গঠন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারে নির্বাহী পরিষদ এবং সাধারণ সদস্যদেরকে সভায় উপস্থিত হয়ে মতামত ও পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই নিয়ে ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য (কেন্দ্র) অনন্ত হিরা বলেন, ‘তিন বছর মেয়াদে ফেডারেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে বসে সাড়ে ছয় বছর ধরে পদ আঁকড়ে থেকেছেন লিয়াকত আলী লাকী। তার এই স্বেচ্ছ্বাচারিতা নিয়ে বিভিন্ন সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাট্যকর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে ফেডারেশনের জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য (কেন্দ্র) লাকী ইনাম এই সভাটি আহ্বান করেছেন।’
২০১৮ সালে ফেডারেশনের ২৩তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন লোকনাট্য দল (সিদ্ধেশ্বরী)-এর লিয়াকত আলী লাকী এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ঢাকা থিয়েটারের কামাল বায়েজিদ। তিন বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও লাকী নির্বাচন না দিয়ে সাড়ে বছর ধরে পদ দখলে রাখেন। একই সাথে শিল্পকলার মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন।
ফেডারেশনের মেয়াদত্তীর্ণ কমিটির স্বেচ্ছাচারিতা, অগঠনতান্ত্রিক ও অবৈধ কার্যক্রমের অভিযোগ তুলে গত বছর `সাধারণ নাট্যকর্মীবৃন্দ` নামে একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে লাকীর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনেও নামেন থিয়েটারকর্মীরা।
বরেণ্য অভিনেতা মামুনুর রশীদ, রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, আহমেদ ইকবাল হায়দার, মলয় ভৌমিকসহ দেশের অগ্রজ নাট্যজনেরা ফেডারেশনে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক ধারা ফেরানোর আহ্বান জানিয়ে প্রতিবাদ করেন। কিন্তু লাকী তাতে কর্ণপাত না করে বরং অগ্রজ নাট্যজনদের নিয়েও নেতিবাচক মন্তব্য করেন।
৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১২ অগাস্ট শিল্পকলার মহাপরিচালকের পদ ছাড়েন লাকী। তবে ফেডারেশন থেকে পদত্যাগ করেননি। বরং অনুগত কয়েকজনকে নিয়ে তিনি অনলাইনে ফেডারেশনের নির্বাহী পরিষদ সভা করেছেন বলেও গুঞ্জন শোনা যায়। এই প্রেক্ষিতে এবার ফেডারেশন সংস্কারের ডাক দিয়ে সভা আহ্বান করলেন ফেডারেশনের জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য (কেন্দ্র) লাকী ইনাম।