• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান পেলেন যারা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩, ১২:১২ পিএম
চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান পেলেন যারা

চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহ দেওয়ার জন্য প্রতি বছর সরকার অনুদান প্রদান করে।  প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সিনেমা নির্মাণে অনুদান দিয়েছে সরকার। এবার অনুদান পাচ্ছে ২২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।

রোববার (১৮ জুন) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে  ২০২২-২৩ অর্থবছরের  অনুদান পাওয়া সিনেমার তালিকা, প্রযোজক-পরিচালকের নাম ও বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ প্রকাশ করেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এবছর ২২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় ১ টি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ শাখায় ১ টি, শিশুতোষ শাখায় ২টি ও সাধারণ শাখায় ১৮টি সিনেমাকে অনুদান দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে অনুদান দেওয়া হয়েছে ৬টি চলচ্চিত্রকে।

এ বছর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে সর্বোচ্চ ৬৫ লাখ টাকা করে পাচ্ছে দুটি চলচ্চিত্র। এর মধ্যে রয়েছে নূর ইমরান মিঠুর প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘সার্কাস’ এবং প্রযোজক হিসেবে নাট্যকার ও নির্মাতা মাতিয়া বানু শুকু পাচ্ছেন ‘লাল মিয়া’ নামের সিনেমার জন্য। এটি পরিচালনা করবেন নুরুল আলম আতিক।

মুক্তিযুদ্ধ শাখায় অনুদান পেয়েছেন বদরুন নাহার রক্সি। ‘যুদ্ধ শিশু’ সিনেমার জন্য তিনি বরাদ্দ পেয়েছেন ৬০ লাখ টাকা। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন মোহাম্মদ উল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ শাখায় ‘ভোর’ সিনেমার জন্য একই পরিমাণ অনুদান পাচ্ছেন মাহিন মাহনুমা। এটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন আমিনুর রহমান খান। শিশুতোষ শাখায় ‘মাটির রাজকুমার’ সিনেমার জন্য একই অনুদান পাচ্ছেন প্রযোজক শামীমা ইসলাম তুষ্টি। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন রুবেল শঙ্কর বিশ্বাস। একই শাখায় একই পরিমাণ অর্থ অনুদান পাচ্ছেন প্রযোজক ও পরিচালক আকা রেজা গালিব। তার সিনেমার নাম ‘মস্ত বড়লোক’।

এছাড়া সাধারণ শাখায় ‘দেনা পাওনা’র জন্য প্রযোজক ও পরিচালক সাদেক সিদ্দিকি পাচ্ছেন ৫৫ লাখ টাকা। ‘মাস্টার’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত, ‘দ্য আগস্ট’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক মাসুদ পথিক, ‘রেনুর মুক্তিযুদ্ধ’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক রোকেয়া প্রাচী, ‘লারা’ ছবির প্রযোজক জ্যোতিকা পাল জ্যোতি ও পরিচালক শেখর দাশ; প্রতি ছবির জন্য অনুদান পাচ্ছেন ৬০ লাখ টাকা করে।

অন্য দিকে ‘দুই পয়সার মানুষ’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক ঝুমুর আসমা জুঁই পাচ্ছেন ৫৮ লাখ।

‘সর্দারবাড়ির খেলা’র প্রযোজক মীর জাহিদুল হাসান (মীর জাহিদ হাসান) ও পরিচালনা মো. সজীব আহমেদ (রাখাল সবুজ), ‘ঠিকানা’র প্রযোজক ও পরিচালক আনোয়ার হোসেন (পিন্টু), ‘জীবন আমার বোন’ ছবির প্রযোজক মোহাম্মদ জাহিদুল করিম ও পরিচালক এনায়েত করিম বাবুল, ‘সূর্য সন্তান’ ছবির প্রযোজক সৈয়দ আশিক রহমান ও পরিচালক কৌশিক শংকর দাস, ‘শিরোনাম’ ছবির প্রযোজক কাজী রুবায়াৎ হায়াৎ ও পরিচালক এস এম তারেক রহমান, ‘শাপলা শালুক’ প্রযোজক ও পরিচালক রাশেদা আক্তার লাজুক এবং ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ ছবির প্রযোজক ইয়াসির আরাফাত ও পরিচালনা জহির রায়হান; প্রতিটি ছবির জন্য পাচ্ছেন ৫৫ লাখ করে।

আর ‘নীল আকাশে পাখি উড়ে’র প্রযোজক ও পরিচালক এস ডি রুবেল, ‘নীল জোসনার জীবন’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক ফাখরুল আরেফিন খান, ‘রুখসার’র প্রযোজক ও পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পাচ্ছেন প্রতি ছবির জন্য ৬০ লাখ টাকা করে।

এদিকে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদান পেয়েছেন ‘নিশিবক’ (মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখা) ছবির প্রযোজক ও পরিচালক সাজ্জাদ জহির, ‘নদাই’ (শিশুতোষ শাখা) ছবির প্রযোজক ও পরিচালক শহিদুল ইসলাম (পথিক শহিদুল), ‘রংগিলা নায়ের মাঝি’ (প্রামাণ্যচিত্র শাখা) প্রযোজক নূরজাহান আলীম ও পরিচালনা মীর শামছুল আলম বাবু, ‘নূর: ছয় শব্দের ইশতেহার’ (প্রামাণ্যচিত্র শাখা) প্রযোজক ও পরিচালক আ. আ. মো. মাহমুদুল হাসান, ‘সোনার নকশীকাঁথা’ (সাধারণ শাখা) প্রযোজক ও পরিচালক সুবর্ণা সেঁজুতি টুসি এবং ‘কফিন’ (সাধারণ শাখা) প্রযোজক ও পরিচালক আছমা আক্তার (লিজা)। তারা প্রতিটি ছবির জন্য পাচ্ছেন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা।

১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর থেকে দেশীয় চলচ্চিত্রের বিকাশে সরকারি এ অনুদান চালু হয়।

 

Link copied!