বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে প্যানেল দিচ্ছেন মিশা সওদাগর আর মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এ প্যানেলে সভাপতি পদে মিশা ও সাধারণ সম্পাদক ডিপজল। এমন খবরের পর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন চিত্রনায়ক ও শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। কারণ আগের নির্বাচনগুলোতে তারা একসঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন।
আগামী ১৯ এপ্রিল এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে উৎসাহ ও উন্মাদনা। নির্বাচন ঘিরে অনেক তারকা এরই মধ্যে প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন।
এক দশক ধরে শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়েই বেশি আলোচনায় এসেছেন জায়েদ খান। গত বছর নির্বাচন ঘিরেই ভাইরাল হয়েছেন। সেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় কৌতূহলী এই অভিনেতার সহকর্মী ও ভক্তরা। ‘জায়েদ খান কি তাহলে মাইনাস হতে যাচ্ছেন?’ সেই প্রশ্ন ঘুরেফিরে আসছে।
ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে চান না জায়েদ খান। শুধু তাই নয়, শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিতে পরিবারেরও সম্মতি পাননি।
গণমাধ্যমে জায়েদ খান বলেন, আমি নির্বাচন নিয়ে এর আগে অনেক সময় দিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। পরিবারকে সময় দিতে পারিনি। এর মধ্যে মা-বাবাকে হারিয়েছি। এখন আমার অভিভাবক বোন। নির্বাচন করা তিনিসহ পরিবারের অনেকেই চান না। পরে আমি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে।
গত বছর নির্বাচনের পর সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সেই জটিলতা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সেখান থেকে নির্বাচিত জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। সেই নির্বাচনে মিশা ও জায়েদ খান প্যানেল হয়েছিল।
পরবর্তী সময় প্রতিপক্ষ প্যানেল সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণের শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করে মিশা-জায়েদ প্যানেল। সেই শপথ অনুষ্ঠানে এসে চমক সৃষ্টি করেন মিশা সওদাগর। এ নিয়ে মিশা-জায়েদ প্যানেলের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়।