আজ নির্মাতা ও অভিনেতা হুমায়ূন সাধুর প্রয়াণ দিবস। ২০১৯ সালের আজকের দিনে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে না-ফেরার দেশে চলেন যান তিনি। হুমায়ূন সাধুর প্রয়াণ দিবসে তাকে মনে করছেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
হুমায়ূন সাধুর প্রকৃত নাম হুমায়ূন কবীর সাধু। তার জন্ম চট্টগ্রামে। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে সেখানেই। ৯ ভাইবোনের মধ্যে তিনি সপ্তম। মা মরিয়ম বেগম ছিলেন তার জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।
সাধু শারীরিকভাবে অন্যদের চেয়ে কিছুটা খর্বাকৃতির ছিলেন। এ জন্য বাবা স্কুলে পাঠাতে আগ্রহী ছিলেন না। বড় বোনের কাছেই তাই প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন সাধু। পরে বড় বোন তাকে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠান। কিন্তু বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা তাকে নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন।
সিনেমা বানানোর স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় আসা সাধু সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে পাশাপাশি যাত্রা করেন অভিনয়শিল্পী হিসেবেও।
সাধুর প্রথম চলচ্চিত্র ‘হোমো-সেপিয়েন্স’। তার প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘গুঞ্জন’ ও ‘গড ভার্সেস গড’। ‘বেঁচে থাকার জন্য আমি’ এবং ‘পাখি পাকা পেঁপে খায়’ নামে নাটক সিরিজ তৈরি করেন তিনি।
হুমায়ূন সাধুর আলোচিত নাটক ‘চিকন পিনের চার্জার’। নাটকটির লেখক ও পরিচালক তিনি নিজেই। এ নাটকে অভিনয়ও করেছেন এবং তার বিপরীতে ছিলেন অভিনেত্রী শাহতাজ। তার অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে-মেড ইন বাংলাদেশ, বিউটি সার্কাস, সাত ভাই চম্পা, চোরাবালি। এ ছাড়া ‘ঊন মানুষ’ নামে একটি টেলিফিল্মে অভিনয় করেন তিনি।
সর্বশেষ অভিনেতা হিসেবে দেখা গেছে মাবরুর রশিদ বান্নাহর ‘ভিউ বাবা’ নামের একটি নাটকে। হুমায়ূন সাধুর লেখা অবলম্বনে বেশ কিছু শর্টফিল্ম ও নাটক তৈরি হয়েছে। তার লেখা গল্পের বই ‘ননাই’ প্রকাশিত হয়েছে। মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘বিউটি সার্কাস’ সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। এখানে তিনি একজন সার্কাসের ক্লাউন হিসেবে অভিনয় করেছেন।
জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুর চার বছর হতে চলছে আজ। আজও কোটি দর্শকের হৃদয়ে বেঁচে আছেন দেশের খ্যাতিমান এই মানুষটি।