অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় লোকসংগীতের অনুষ্ঠান ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট’। সান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর এশিয়ার সবচেয়ে বড় লোকসংগীতের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে ২০১৯ সালে উৎসবের পঞ্চম আসরের পর এটি আর অনুষ্ঠিত হয়নি। ধারাবাহিকভাবে পাঁচ বছরের পরিক্রমায় সংগীতপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্ট’। সেটি বন্ধ হওয়ায় হতাশ হয়েছেন সংগীতপ্রেমীরা।
তবে সংগীতপ্রেমীদের পাঁচ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট’র মঞ্চে ফেরার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা ফের অনিশ্চয়তায় মুখে পড়েছে। এই আয়োজনটির জন্য ভেন্যু বরাদ্দ দিয়েও তা ‘বাতিল করেছে’ আর্মি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ।
ভেন্যু বাতিলের ঘটনায় লোকসংগীতের এই আসর কবে হতে পারে সে বিষয়ে এখনই কোনো দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে পারছে না বলে জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান সান কমিউনিকেশনস। আসছে বছরের জানুয়ারিতে তিন দিনব্যাপী এই লোকসংগীতের উৎসবের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছিল সান কমিউনিকেশনস।
প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর তানভীর হোসেন বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদেরকে যে ভেন্যু বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, অনিবার্য কারণ উল্লেখ করে তা বাতিল করা হয়েছে।’
গত অক্টোবরে আয়োজক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তারা ফোক ফেস্ট আয়োজনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ভেন্যু হিসেবে আর্মি স্টেডিয়ামও বরাদ্দ পেয়েছেন তারা।
সে সময় বলা হয়েছিল জানুয়ারির ২৩, ২৪ ও ২৫ তারিখে আর্মি স্টেডিয়ামে ফোক ফেস্টের আসর বসবে।
এখন আয়োজকদের পরিকল্পনা কী প্রশ্নে তানভীর বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুকূলে এলে আমরা আবারও চেষ্টা করবো। তবে সামনে রোজা এবং ঈদ আছে। এগুলো বিবেচনায় রেখেই হয়তো চিন্তা করা হবে। আমরা তো আয়োজনটি করতেই চাই। তবে কবে করতে পারবো, বলা যাচ্ছে না।’
২০১৯ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচবার রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ লোকসংগীতের আসর ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট’। তবে কোভিড মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে বন্ধ রয়েছে এই আয়োজন।
বাংলা লোকগানের সুর-সুধা বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দিতে সান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০১৫ সালে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট।
এরই ধারাবাহিকতায় তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে উৎসবটি। এই উৎসবে বাংলাদেশের লোকগানের শিল্পীদের পাশাপাশি গান করেন বিভিন্ন দেশের একাধিক কণ্ঠশিল্পী।